কামাল হোসেন
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম
আইতানা বোনমাতি। ছবি: সংগৃহীত
নারী ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরা হিসেবে উঠে আসবে মিয়া হ্যাম কিংবা মার্তার নাম। তাদের যোগ্য উত্তরসূরি হতে চলেছেন আইতানা বোনমাতি। ইতিহাসের প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে তিনি জিতেছেন টানা দুটি ব্যালন ডি’অর আর ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার।
মিয়া হ্যাম যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে দুটি করে অলিম্পিক স্বর্ণ আর বিশ্বকাপ জিতেছেন। ২৭৬ আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেশের হয়ে তার গোলের সংখ্যা ১৫৮। ২০০১ আর ২০০২ সালে টানা দুইবার জিতেছেন ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার। মার্তা ছয়বার জিতেছেন ফিফা বর্ষসেরা খেতাব। ব্রাজিলের জার্সিতে সর্বোচ্চ ১১৯ গোলের মালিক তিনি। সর্বকালের অন্যতম সেরা নারী ফুটবলার হয়েও মার্তা ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ কিংবা অলিম্পিক স্বর্ণ জেতাতে পারেননি। হেরেছেন তিনটি অলিম্পিক আর ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল।
আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে মিয়া হ্যাম আর মার্তা বিদায় নিয়েছেন। আছেন ২৬ বছর বয়সী বোনমাতি। ২০২৩ সালে স্পেনকে প্রথমবারের নারী বিশ্বকাপ জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। পেয়েছেন সেরা খেলোয়াড়ের ‘গোল্ডেন বল’। ২০২৩-২৪ মৌসুমে স্পেনকে এনে দিয়েছেন উয়েফা নেশন্স লিগ ট্রফি। ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার হয়ে ২০১৯-২০ মৌসুম থেকে জিতেছেন টানা পাঁচটি লিগ শিরোপা। কাতালানদের হয়ে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জেতা হয়ে গেছে তার। ২০২২-২৩ আর ২০২৩-২৪ মৌসুমে নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা খেলোয়াড় বোনমাতি।
স্পেনের কাতালান রাজ্যে বোনমাতির জন্ম ১৯৯৮ সালের ১৮ জানুয়ারি। মাত্র সাত বছর বয়সে রিবস একাডেমিতে ফুটবলে হাতেখড়ি। পরবর্তী সময়ে বার্সেলোনার নারীদের লা মেসিয়া হয়ে মূল দলে আত্মপ্রকাশ। বর্তমানে বার্সেলোনা আর স্পেন তো বটেই, বিশ্ব ফুটবলের সেরা ফুটবলার তিনি। তার পায়ের জাদুতে মুগ্ধ পুরো ফুটবল বিশ্ব। মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হলেও রয়েছে গোল করার অসাধারণ ক্ষমতা। বার্সেলোনার জার্সিতে ১৮১ ম্যাচে করেছেন ৬৮ গোল। স্পেনের হয়ে গোলের সংখ্যা ৬৫ ম্যাচে ২৬। ২০২৩ নারী বিশ্বকাপে তিনটি আর নেশন্স লিগে চারটি গোল করেছেন। যার মধ্যে ফাইনালে করেন জোড়া গোল।
বোনমাতি একজন পরিপূর্ণ ফুটবলার। অনেকেই তাকে আদর করে নারী ফুটবলের ‘মেসি’ বলে ডাকে। যদিও বোনমাতি নিজের পরিচয়েই পরিচিত হতে পছন্দ করেন। নিজের সম্পর্কে তার মূল্যায়ন, ‘আমি সেই শক্তিশালী নারীদের প্রজন্মের একজন, যারা এই খেলার সঙ্গে বিশ্বকেও পাল্টে দিচ্ছে।’