কোটি টাকার স্লুইস গেইট এখন গলার কাঁটা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নহনা খালে নির্মিত স্লুইস গেইট। ছবি: ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নহনা খালে নির্মিত স্লুইস গেইট। ছবি: ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

মাঠের মাঝে বয়ে গেছে নহনা খাল, দুই পাশে ফসলের সবুজের সমাহার৷ ধান,ভুট্টা আলুসহ নানা ফসল আবাদ করে থাকেন কৃষকরা৷ নহনা খালে ২ কোটি ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নির্মাণ করা হয়েছিল স্লুইস গেইট৷ স্থানীয় কৃষকদের উপকারের জন্য নির্মাণ করা হলেও কাজে আসছে না এটি। কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ গেইট এখন গলার কাঁটা৷ দীর্ঘদিন থেকে সচল না থাকায় পরিণত হয়েছে মাদকসেবীদের আড্ডাখানায়। 

২০১৫-১৬ অর্থ বছরে উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের জাউনিয়া গ্রামে স্লুইস গেইটটি নির্মাণ করেছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। খরা মৌসুমে আবাদি জমিতে সেচ সুবিধা পেতে নির্মাণ করা হয় গেইটটি। শুরুতে সেটি খোলা ও বন্ধের কাজ হলেও প্রায় এক পাঁচ বছর ধরে কৃষকের কাজে আসছে না গেইটটি। কোনো ধরনের সেচ সুবিধা পাচ্ছেন না কৃষকরা৷ নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে গেইটটি, আর অন্যদিকে প্রবাহিত হচ্ছে পানির স্রোত।  

স্থানীয় কৃষক সফিউল আলম বলেন, আমাদের উপকারের জন্য এটি করা হয়েছে। শুরুতে আমরা উপকার ভোগ করেছি। সরকার কোটি টাকা খরচ করে খরা মৌসুমে সেচের জন্য করেছে৷ অথচ এটি এখন কৃষকের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এটি সংস্কার করা জরুরি, এতে আমরা উপকৃত হব৷ 

কলেজ শিক্ষার্থী আবু নাঈম বলেন, সন্ধ্যা নামলে এখানে বখাটে ছেলের আসর জমে। মাদকসেবীদের আড্ডাখানা হয়েছে৷ গেইটটির যে মালামাল রয়েছে, সেগুলো তারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত৷ 

ছোট সিংগিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের সমিতির ব্যবস্থাপনায় একটি গেইট ও আরেকটি ওয়ার করা হয়েছে। শুরুতে আমাদের কৃষকদের জন্য এটি উপকার হলেও এখন কোন কাজে আসছে না৷ প্রায় দুই বছর ধরে আমরা এলজিইডির সাথে এটি সংস্কার নিয়ে কথা বলছি। মেরামত হলে আমাদের কৃষকদের কাজে আসবে৷ 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বালীয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম বলেন, স্লুইস গেইটটি এখন কৃষকদের জন্য সেচ সুবিধায় কাজে আসছে না। বছরের মধ্য ভাগে মেরামত হবে বলে আশা করছি৷

নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস বলেন, গেইটের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা কৃষকদের সেচ সুবিধা পেতে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনঃসংস্কারের কাজ শুরু করব।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh