সীমান্তে লাশ দেখলে তারকাঁটা ভেঙে দেব: সারজিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০০ পিএম

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, আর যদি আমার কোনো ভাই বা বোনের লাশ সীমান্তের তারকাঁটায় ঝুলে থাকে তাহলে সেই কাঁটাতার লক্ষ্য করে আজকের মার্চ ফর ফেলানীর মতো লংমার্চ করা হবে। আর যদি পরবর্তীতে আমাদের সেই মার্চ তারকাঁটাকে উদ্দেশ্য করে হয় তাহলে আমাদের লক্ষ্য- তাঁরকাটাকে ভেদ করে যতদূর দৃষ্টি যায় ততদূর যাবে। সীমান্তে লাশ দেখলে সীমান্ত (তারকাঁটার বেড়া) ভেঙে দেব।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ‘মার্চ ফর ফেলানী’ লংমার্চ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন সারজিস আলম।

লংমার্চটি সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম জেলা শহরের কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়। লংমার্চ শেষ হবে কুড়িগ্রামের নাগশ্বরী উপজেলা রামখানা ইউনিয়নের নাখারগঞ্জ গ্রামে ফেলানীর বাড়িতে। লংমার্চে তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশকে একটি কথাই বলতে চাই, এই যে সীমান্ত হত্যা, তারকাঁটা দেওয়ার নামে জোর করে বাধা দেওয়ার জন্য যে প্রয়াস তা রুখে দেওয়ার জন্য নতুন করে যে অভ্যুথান হয়েছে এই অভ্যুথানের স্ফুলিং সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।’

সারজিস আলম বলেন, ‘কুড়িগ্রামে মার্চ ফর ফেলানী থেকে বলতে চাই, আমরা বাংলাদেশের সীমান্তে কোনো লাশ দেখতে চাই না। বাংলাদেশের যত নাগরিক সীমান্তে লাশ হয়েছে তার বিচার আর্ন্তজাতিক আদালতে করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রজনতা আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ দিয়েছে সেই ছাত্র-জনতা নতজানু পররাষ্ট্রনীতি মেনে নেবে না। আগামীতে বাংলাদেশে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা যদি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার জন্য কোনো দেশের দালাল হয় তাহলে তাদের পরিণতি শেখ হাসিনার মতো হবে।’

লংমার্চের শুরুতে ফেলানী হত্যাসহ সীমান্তে সকল নাগরিক হত্যার বিচার, সীমান্তে মরণঘাতী অস্ত্র বন্ধ, শহীদ ফেলানীর নামে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের নামকরণ, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাতিল করে সাম্যের ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ এবং কুড়িগ্রামের চরের জীবন-জীবিকা উন্নয়নে নদী সংস্কারের ৫ দফা দাবি জানান তিনি।

লংমার্চে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসান, সমন্বয়ক রকিব মাসুদসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা। লংমার্চে ফেলানীর বাবা নুর ইসলামও উপস্থিত আছেন। লংমার্চ শেষে নাগেশ্বরীর নাখারগঞ্জ বাজারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh