টিসিবির এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের লোগো। ফাইল ছবি

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের লোগো। ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা এস কে বশির উদ্দিন জানিয়েছেন, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখ ভুয়া।

আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও বিআইসিসিতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ২০২৪-এর সিম্পোজিয়াম, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট নিয়ে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সমাজে বৈষম্য তৈরি হয়েছে বলেই আন্দোলন হয়েছে। যা দূর করা সম্ভব নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে।

এ সময় করের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয় করই গুরুত্বপূর্ণ। আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো এর প্রয়োগ করা।

তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও গেল ডিসেম্বরে অনৈতিকভাবে লাভ করেছে ব্যাংকগুলো, যা খতিয়ে দেখা উচিত।

একই আলোচনা সভায় ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো এবং শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, আমরা দেখে অবাক হয়ে গেছি— কীভাবে অবিবেচকভাবে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। কর সংগ্রহ করতে হলে ক্রমান্বয়ে প্রত্যক্ষ কর প্রদানকারীর কাছে যেতে হয়। আমরা প্রত্যক্ষ কর আহরণে কোনো পরিকল্পনা দেখি নাই। যারা কর দেয় না তাদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেয়া হয় সেটা জানা গেল না। আমাদের এটা চিন্তিত করেছে। আগামী গরমে জ্বালানি পরিস্থিতি আরও জটিল হবে, এই আশঙ্কা করছি।

রেকর্ড পরিমাণ আমন উৎপাদন করেও সংগ্রহ অভিযানে সাফল্য নেই জানিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সংগ্রহ অভিযানে আগে যেমন দুর্নীতি ছিল, তা এখনও আছে। কৃষক তার ফসলের মূল্য পাচ্ছে না। সামাজিক সুরক্ষা বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে আছে।

এই সরকার কী ধরনের অর্থনৈতিক উত্তরাধিকার রেখে যাবে প্রশ্ন তোলেন এই অর্থনীতিবিদ। সুষম অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলতে যে ধরনের প্রশাসনিক কাঠামো বা সংস্কার দরকার সে রকমের কোনো রূপরেখা আমরা দেখলাম না- বলেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh