সম্পর্ক যেমন সুখের সময় থাকে, তেমনি থাকে চড়াই-উৎড়াই। আধুনিক সময়ে সম্পর্কের বিষয়টি বেশ জটিল হয়ে উঠছে। অবিশ্বাস, প্রতারণাসহ নানা বিষয় সম্পর্ককে কলুষিত করছে। যেকোনো সম্পর্ক ভেঙে গেলেই খুব কষ্ট হয়। সম্পর্কে ভাঙন কারোরই কাম্য নয়।
সম্পর্ক গড়ে উঠতে সময় নেয় হয়তো অনেক দিন। আস্তে আস্তে জমানো সব অনুভূতি, বিশ্বাস একদিনে যেমন গড়ে ওঠে না। ঠিক তেমনি, সম্পর্কও একদিনে ভেঙে যায় না। যদি সম্পর্ক কিছুটা ভেঙে যায় তাহলে একবার হলেও চেষ্টা করা উচিত সে সম্পর্কটাকে আবার একটু ঠিক করার। ভালোবাসা ও বিশ্বাসে ভর করেই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। কঠিন পরিস্থিতির মুখ থেকেও ফিরিয়ে আনা যায় সম্পর্ককে।
আপনি যদি ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক আবার আগের মতো করে তুলতে চান তাহলে আপনার জন্য রইলো কিছু পরামর্শ-
- মনে রাখবেন সম্পর্ক একবার ভেঙে গেলে তা জোড়া লাগানো বেশ কঠিন যদি আপনার আবেগগুলো বের করে না দেন। নিজের সাথে নিজে বোঝাপড়া করুন। নিজেকে বা সঙ্গীকে দোষারোপ না করে নিজের মনে আসা প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন।
- নতুন করে সম্পর্ক গড়ার জন্য দুপক্ষের আচরণই গুরুত্বপূর্ণ। দুজনের মধ্যে যদি ভালোবাসা থাকে তাহলে ভুল বোঝাবুঝিটা যে কারণেই হোক তা এক সময় ঠিক হয়ে যাবে। এজন্য দুজনকেই এগিয়ে আসতে হবে। অতীত ভুলে একই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।
- যদি আপনার সঙ্গী নিজের ভুল স্বীকার করে তাহলে তার সাথে খোলাখুলি আলাপ করুন। তাকে জানান তার ব্যবহারে আপনি কতটা কষ্ট পেয়েছেন বা কি পরিমাণ কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। সঙ্গী কেন আপনার সাথে এমন করেছে তা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলুন।
- কেউ বিশ্বাস ভঙ্গ করলে তাকে ক্ষমা করা খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু একমাত্র ক্ষমাই পারে সম্পর্ক আবারও সহজ করতে। সঙ্গীকে ক্ষমা করুন এবং তার নিজেকে ক্ষমা করার সুযোগ দিন। ক্ষমা করা মানেই হচ্ছে তাকে গ্রহণ করার মানসিকতা। ক্ষমা করতে না পারলে আপনাদের মাঝে একটা দেওয়াল তৈরি হবে যা ভেঙে আপনারা কখনোই সামনে এগুতে পারবেন না।
- সঙ্গীকে জানান আপনাদের সম্পর্ক থেকে আপনি কি চান। সঙ্গীকে বলুন কীভাবে আপনার বিশ্বাস নষ্ট হয়েছে তার প্রতি। নতুন করে সম্পর্ক গড়তে আর কি চান সেটাও তাকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিন।
- কখনও কখনও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির সাহায্য লাগে। তবে এই তৃতীয় ব্যক্তি যাতে নিরপেক্ষ হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি কোনো পেশাদার কাউন্সিলারের সাথে কথা বলেন। সঙ্গী আপনাকে কতটা কষ্ট দিয়েছে তা কাউন্সিলারের সাথে খোলাখুলি আলাপ করুন। এতে আপনরা মন অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে।