যেসব কারণে অজু ভাঙে

অজুর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টিও লাভ হয়। আবার নামাজ আদায়ের জন্য অজু করতে হয়। 

অজু ভাঙার কিছু কারণ রয়েছে- 

  • যদি রক্ত বের হয়, কিন্তু নিজের স্থান থেকে গড়িয়ে পড়ে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ১/১৩৭) 
  • কোনো ক্ষত স্থান অথবা কান থেকে পোকা বের হলে। (মুসান্নাফে আবদির রাজ্জাক : ১/৬২৯)
  • কফমিশ্রিত বমি হলে। কারণ কফ বের হওয়াকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হাদাস’ বলা হয় না। ‘হাদাস’ হলেই অজু ওয়াজিব হয়, অন্যথায় নয়। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৯৩০১) 
  • যদি বমি হয়, কিন্তু তা মুখ ভরে না হয়। (আল আসার লি আবি ইউসুফ : ৩৪)
  • নিজের লজ্জা স্থান স্পর্শ করলে। (নাসায়ি, হাদিস : ১৬৫) 
  • নারীর শরীর স্পর্শ করলে। (নাসায়ি, হাদিস : ১৭০) 
  • ঘুমের ঘোরে নাক ডাকলে। (মুআত্তা মালেক, হাদিস : ৩৬)
  • নিতম্বদ্বয় জমিতে ঠেসে লেগে থাকা অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়লে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৭২)
  • যদি শরীরের গোশত ঝরে পড়ে, কিন্তু রক্ত বের না হয়। যেমন- ইরকে মাদানি। এটা এক ধরনের ফোসকা বিশেষ, যা চামড়ার উপরিভাগে ওঠে এবং একসময় তা গোশতসহ শরীর থেকে ঝরে পড়ে, কিন্তু সাধারণত রক্ত বের হয় না। কারণ যেসব বস্তুর কারণে অজু ভেঙে যায়, সেগুলো হয়তো নিজেই নাপাক অথবা নাপাক বস্তুর সঙ্গে লেগে আসার কারণে নাপাক হয়ে থাকে, কিন্তু গোশত পাক। তাই গোশত ঝরে পড়লে অজু ভাঙে না। যদি এর সঙ্গে রক্তও প্রবাহিত হয়, তাহলে প্রবাহিত রক্তের কারণে অজু ভেঙে যাবে। (দারাকুতনি : ৫৮১, ৫৯১, শরহে বেকায়া : ১/৩৭)
  • নামাজরত ব্যক্তির ঘুমের দরুন অজু ভাঙে না। চাই তা দাঁড়ানো অবস্থায় হোক অথবা বসা, রুকু বা সিজদা অবস্থায় হোক। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস : ৬০৯)

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

বিষয় : অজু নামাজ

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //