অজুর সময় মহানবী যে দোয়া পড়তেন

অজু পবিত্রতা অর্জন ও নামাজ আদায়ের প্রধান মাধ্যম। অজু ছাড়া নামাজ পড়া যায় না। পবিত্র হাদিসে অজুকে নামাজের চাবি বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আর নামাজকে বলা হয়েছে জান্নাতের চাবি। অজুতে কয়েকটি দোয়া রয়েছে। 

মহানবী (সা.) অজুর সময় নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়তেন-

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগ ফিরলি জাম্বি ওয়া ওয়াসসি’লি ফি দারি, ওয়া বারিকলি ফি রিজকি।

অর্থ : ‘আয় আল্লাহ আপনি আমার গুনাহ ক্ষমা করুন, আমার আবাস প্রশস্ত করে দিন, আমার রুজি রোজগারে বরকত দিন।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শারবা, হাদিস : ৫০/৬; তাবারানি, হাদিস : ৩৫৯/১৯; সুনানে কুবরা, হাদিস : ২৪/৬, মুসনাদে আবু ইয়ালা ৮১/১৫)

অজুর শেষে যে দোয়া পড়বেন : পবিত্রতা অর্জন, নামাজ আদায় ও কোরআন তেলাওয়াত ছাড়াও বিভিন্ন ইবাদত কিংবা সওয়াব লাভের আশায় আমরা অজু করি। অজু করে নিম্নের দোয়াটি পড়লে জান্নাতের সব দরজা উন্মুক্ত হয়ে যায়।

উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন— 

যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করার পর উল্লিখিত দোয়া পড়বে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হবে। সে নিজ ইচ্ছামতো যেকোনো দরজা দিয়েই তাতে যেতে পারবে।

(তিরমিজি, হাদিস : ৫৫)

উচ্চারণ : আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু, আল্লাহুম্মাজ-আলনি মিনাত-তাওয়া-বিনা, ওয়াজ-আলনি মিনাল-মুতা-ত্বাহহিরিন।

অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করুন।

উকবা ইবনে আমের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ওজু করে, আর সে পূর্ণরূপে সুন্দর করে ওজু করে, এরপর সে নিম্নের (উপরেল্লিখিত) দোয়াটি পাঠ করে, তাহলে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হয়। যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা, সে প্রবেশ করতে পারে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৩৪৫)

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

বিষয় : অজু দোয়া

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //