সিজদা আদায় ছাড়া নামাজ হয় না। সিজদা আদায়ের নিয়ম ও পদ্ধতি রয়েছে। সিজদা আদায় করার ক্ষেত্রে কিছু সুন্নতের কথা হাদিসের কিতাবগুলোতে এসেছে; যেগুলো আল্লাহর রাসুল (সা.) করতেন। এগুলো পালনে নামাজ আরও প্রাণবন্ত ও হৃদয়ার্দ্র হবে।
এক. তাকবির বলা অবস্থায় সিজদায় যাওয়া। (বুখারি শরিফ, হাদিস : ৮০৩)
দুই. প্রথমে উভয় হাঁটু মাটিতে রাখা। (নাসায়ি, হাদিস : ১০৮৯; আবু দাউদ, হাদিস : ৮৩৮)
তিন. তারপর হাঁটু থেকে আনুমানিক এক হাত দূরে উভয় হাত রাখা এবং হাতের আঙুলগুলো কিবলামুখী করে সম্পূর্ণরূপে মিলিয়ে রাখা। (বুখারি শরিফ, হাদিস : ৮২৮; সহিহ ইবনে খুজায়মা, হাদিস : ৬৪২)
চার. নারীরা অত্যন্ত জড়সড় ও সংকুচিত হয়ে সিজদা করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ২৭৭৭)
পাঁচ. তারপর উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা বরাবর নাক রাখা। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৮৮৯৪)
ছয়. তারপর কপাল রাখা। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৮৮৮০)
সাত. অতঃপর দুই হাতের মাঝে সিজদা করা ও দৃষ্টি নাকের অগ্রভাগের দিকে রাখা। (মুসলিম, হাদিস : ৪০১)
আট. সিজদায় পেট ঊরু থেকে পৃথক রাখা। (মুসলিম, হাদিস : ৪৯৬; আবু দাউদ, হাদিস : ৭৩৫)
নয়. নারীরা উভয় রানের সঙ্গে পেট মিলিয়ে রাখবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ২৭৭৭)
দশ. পাঁজরদ্বয় থেকে উভয় বাহু পৃথক রাখবে। (বুখারি, হাদিস : ৮০৭)
এগার. নারীরা বাহুদ্বয় যথাসাধ্য পাঁজরের সঙ্গে মিলিয়ে রাখবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ২৭৮১)
বারো. কনুই মাটি ও হাঁটু থেকে পৃথক রাখবে। (বুখারি, হাদিস : ৮২২)
তের. নারীরা কনুই মাটিতে মিলিয়ে রাখবে এবং পায়ের পাতাগুলো দাঁড়ানো না রেখে (ডান দিকে বের করে) মাটিতে বিছিয়ে রাখবে আর আঙুলগুলো যথাসাধ্য কিবলামুখী রাখবে। (মারাসিলে আবি দাউদ, হাদিস : ৮৭)
চৌদ্দ. সিজদায় কমপক্ষে তিনবার সিজদার তাসবিহ (সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা) পড়া। (আবু দাউদ, হাদিস : ৮৭০)
পনের. তাকবির বলা অবস্থায় সিজদা থেকে ওঠা। (বুখারি, হাদিস : ৮২৫)
ষোল. প্রথমে কপাল, (তারপর নাক) তারপর উভয় হাত, তারপর উভয় হাঁটু ওঠানো। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ২৯৫৮)
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh