বৃষ্টির সময় যে দোয়া পড়তেন বিশ্বনবী

বৃষ্টিতে কল্যাণ-অকল্যাণ দুটোরই সম্ভাবনা থাকে। কখনও তা মুসিবতের কারণ হয়ে দাঁড়ায় আবার কখনও রহমত হিসেবে আবির্ভূত হয়। মেঘলা আকাশ যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং প্রচণ্ড বাতাস বইতে শুরু করে তখন আল্লাহর আজাব-গজবের আশঙ্কা থাকে। কিন্তু কিছু বৃষ্টি আল্লাহর রহমত। এতে এমন কোনো আশঙ্কা থাকে না। 

হাদিসে এসেছে, ‘মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবং প্রচণ্ড বাতাস দেখলে নবীজির (সা.) চেহারায় চিন্তার ছাপ ফুটে উঠত। তিনি এদিক-সেদিক ছোটাছুটি শুরু করে দিতেন। অতঃপর ঝরঝরে বৃষ্টি হলে তিনি আনন্দিত হতেন এবং চেহারা থেকে দুশ্চিন্তার ছাপ চলে যেত।’ (মুসলিম ২৯৪)

বৃষ্টি উপভোগ করা এবং বৃষ্টির পানি গায়ে স্পর্শ করানো নবীজির (সা.) একটি আমল। মাঝেমধ্যে রাসুল (সা.) আল্লাহর রহমতের বারিধারায় নিজের শরীর ভিজিয়ে নিতেন। 

হজরত আনাস (রা.) বলেন, আমরা সাথী-সঙ্গীরা একবার রাসুলের (সা.) সাথে ছিলাম, এসময় বৃষ্টি শুরু হলো। তখন রাসুল (সা.) তার শরীর থেকে কাপড়ের একাংশ সরিয়ে দিলেন যেন বৃষ্টির পানি গায়ে স্পর্শ লাগে। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! এমনটি কেন করলেন? নবীজি (সা.) বললেন, কেননা এই বৃষ্টি তার রবের কাছ থেকে মাত্রই এসেছে। (মুসলিম ২৯৪)

বৃষ্টি শুরু হলে রাসুল (সা.) বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা সাইয়িবান নাফিয়া’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! মুষলধারায় উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন।’ (বুখারি : ১০২২)

আবার প্রবল আকারে বৃষ্টি বর্ষণ ও ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে তিনি বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ামা আলাইনা’ অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ! বৃষ্টির আজাব আমাদের ওপর থেকে তাড়িয়ে নিন, আমাদের জন্য কল্যাণ দিন।’ (বুখারি : ১০০৩)

বৃষ্টি যেহেতু আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত ও রহমত, তাই বৃষ্টি থেমে গেলে আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করা উচিত। বৃষ্টি শেষ হলে রাসুল (সা.) বলতেন, ‘মুতিরনা বি ফাদলিহি ওয়া রহমাতিহি’, অর্থাৎ, ‘আল্লাহর রহমত ও অনুকম্পায় বৃষ্টি বর্ষণ হয়েছে।’-(বুখারি : ৩৮)

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

বিষয় : বৃষ্টি দোয়া

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //