সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন জুমাবার। এদিনের সওয়াব-মর্যাদা ঈদুল ফিতর ও আজহার মতো। মুসলমানদের কাছে এ দিন অপরিসীম ফজিলতের। আল্লাহ তাআলার কাছে জুমার গুরুত্ব এত বেশি যে, পবিত্র কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি সুরা নাজিল করা হয়েছে। জুমাবার ফজিলতপূর্ণ দিন হওয়ায় এদিন অনেকে রোজা রাখে। তবে জুমাবারে রোজা রাখা নিয়ে ইসলামে নির্দিষ্ট কোনো বিধান নেই।
জুমার দিন কেউ রোজা রাখতে চাইলে পারবে। কিন্তু যদি কেউ শুধু জুমার দিনকে রোজা রাখার জন্য নির্দিষ্ট করে নেয় তাহলে তা উচিত হবে না। যদি কেউ রোজা রাখতে চান তাহলে বৃহস্পতি শুক্র একসঙ্গে অথবা শুক্র শনি একসঙ্গে রোজা পালন করবেন। দুই দিনের রোজা পালন করবেন।
কিন্তু এর চেয়ে উত্তম হচ্ছে, বৃহস্পতিবার ও সোমবার রোজা পালন করা। যেহেতু রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে আপনার দুটি আমল হয়ে যাবে এবং সবচেয়ে বড় মর্যাদার আমল হলো, বান্দার নেক আমলগুলো আল্লাহর কাছে এই অবস্থায় পেশ করা হবে যে বান্দা রোজা পালন করছে। এটা আল্লাহর কাছে মর্যদাপূর্ণ বিষয়।
আলেমদের মতে, জুমার দিনে রোজা রাখা নিষেধ নয় তবে এককভাবে জুমার দিনকে রোজা রাখার জন্য নির্দিষ্ট করাও উচিত নয়।
হজরত আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জুমার দিন কেউ যেন রোজা পালন না করে। কিন্তু যদি কেউ জুমার দিনের আগে বা পরে একদিন রোজা পালন করে তাহলে সে জুমার দিন রোজা পালন করতে পারে। ( মেশকাতুল মাসাবিহ, ১৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৫৫০)
এই হাদিসের মাধ্যমে বুঝানো হয়েছে, কোনো মুসলিম ব্যক্তির জন্য এটা জায়েজ নয় যে, সে শুধু শুক্রবারে বা জুমার দিনে রোজা রাখবে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh