তারাবি নামাজের নিয়ম

রমজান মাসের ইবাদত খুব ফজিলতপূর্ণ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করলো সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করলো। আর যে এ মাসে একটি ফরজ আদায় করলো সে যেন অন্য মাসের ৭০টি ফরজ আদায় করলো। (শুআবুল ঈমান: ৩/৩০৫-৩০৬)।

রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। ফরজ রোজা ছাড়াও এ মাসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত আছে। এর মধ্যে তারাবি নামাজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আরবি ‘তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা। তারাবি নামাজ পড়াকালে প্রতি দুই রাকাত বা চার রাকাত পরপর বিশ্রাম করার জন্য একটু বসার নামই ‘তারাবি’। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) তারাবির নামাজে অংশ নিতেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তা ফরজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় জামাতে অংশ নেননি। তবে তিনি ঘরে তারাবির সময় নামাজ আদায় করতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে তারাবির জামাতে অংশ না নিলেও উম্মতকে তারাবির প্রতি উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও পরকালের আশায় রমজানের রাতে কিয়ামুল লাইল (তারাবি) আদায় করবে, তার অতীতের পাপ মার্জনা করা হবে।’ (নাসায়ি, হাদিস : ২২০৫)

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখবে এবং তারাবি আদায় করবে, সে আল্লাহর কাছে সত্যবাদী ও শহীদদের কাতারভুক্ত বলে গণ্য হবে।’ (সহি ইবনে হিব্বান)।

তারাবি নামাজের নিয়ম:

এশার ফরজ নামাজ পড়ার পরে তারাবি নামাজ পড়তে হয়। তারাবি নামাজ দুই রাকাত করে পড়া হয়। প্রত্যেক দুই রাকাতের পর সালাম ফেরানো হয়। এভাবে চার রাকাত পড়ার পরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া হয়। এসময় বিভিন্ন তাসবিহ-তাহলিল পড়া উত্তম। দীর্ঘ নামাজের কঠোর পরিশ্রম লাঘবের জন্য প্রতি দুই রাকাত, বিশেষ করে প্রতি চার রাকাত পর একটু বসে বিশ্রাম করে দোয়া ও তসবিহ পাঠ করতে হয় বলে এ নামাজকে ‘সালাতুত তারাবিহ’ বা তারাবি নামাজ বলা হয়।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //