কয়েল-আগরবাতির ধোঁয়ায় কি রোজা ভেঙে যাবে?

রোজা শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম নয়। আল্লাহ ভীতি এবং তাকওয়া অর্জন রোজার অন্যতম উদ্দেশ্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’(সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৩)

একজন মুমিনের দায়িত্ব হলো রোজার মাধ্যমে আল্লাহভীতি অর্জনের চেষ্টা করা এবং ধীরে ধীরে নিজের রোজার স্তরকে উন্নীত করা। রোজার উদ্দেশ্যে কেবল পানাহার থেকে বিরত থাকা মানুষের পার্থিব ও অপার্থিব কোনো কাজে আসে না।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা এবং এর ওপর আমল করা থেকে বিরত থাকে না আল্লাহ তাআলার জন্য তার উপবাস থাকা এবং পিপাসার্ত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ তার রোজা রাখা বেকার বলে গণ্য হবে।’ (বুখারি)

হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বা, চোখ, কানসহ অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সংযত করতে পারে না তার রোজা কোনো কাজেই আসবে না।’ (বিহারুল আনওয়ার)

প্রত্যেক মুমিন, মুসলিমের উচিত রোজার উদ্দেশ্য ও রোজা ভঙ্গে কারণগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া। 

রোজা অবস্থায় আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া অনিচ্ছাকৃতভাবে নাকে বা গলার ভেতরে চলে গেলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া ইচ্ছাকৃতভাবে নাক দিয়ে টেনে ভেতরে নিলে রোজা ভেঙে যাবে; কিন্তু আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া ছাড়া শুধু ঘ্রাণ নিলে রোজা নষ্ট হবে না।

তবে সচেতনার জন্য রোজার দিনে আগরবাতি না জ্বালানোই উচিত। (সূত্র : কিতাবুল আসল : ২/১৭২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ১/২০৮; মাজমাউল   আনহুর : ১/৩৬১)

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //