বিয়ে বৈধ হওয়ার জন্য সাক্ষী থাকা কি গুরুত্বপূর্ণ

প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষদের বিয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন মহান রাব্বুল আলামীন। বিয়ে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত ও রাসুল (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। চারিত্রিক অবক্ষয় রোধের অনুপম হাতিয়ার। আদর্শ পরিবার গঠন, মানুষের জৈবিক চাহিদাপূরণ ও মানবিক প্রশান্তি লাভের প্রধান উপকরণ।

বিয়ে ইসলামী শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিয়ে সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। যারা বিয়েতে সামর্থ্য নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে— যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেন। (সুরা নুর, আয়াত: ৩২-৩৩)

আল্লাহর রাসুল (সা.) যুবকদের বিয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে নেয়, কেননা তা চক্ষুকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান রক্ষা করে। (বুখারি, হাদিস: ৫০৬৬; মুসলিম, হাদিস: ১৪০০)

ইসলামে বিয়ে বৈধ হওয়ার জন্য সাক্ষী থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সাক্ষী ছাড়া বিয়ে হয় না। ইসলামী শরিয়তে বিয়ে বৈধ হওয়ার জন্য কমপক্ষে দুই জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষী থাকতে হয় এছাড়া বিয়ে ও সংসার জীবন বিশুদ্ধ হয় না। তাই বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। 

বিয়ের অন্যতম অনুষঙ্গ বিয়ের খুতবা। সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব-কবুলের আগে বিয়ের খুতবা পড়া সুন্নত। তবে খুতবা পড়া ফরজ কিছু নয়। এজন্য শরীয়ত নির্ধারিত সাক্ষীর উপস্থিতিতে যদি বিশুদ্ধভাবে বিয়ের ইজাব-কবুল হয়ে যায় এবং উপস্থিত সাক্ষীরা ইজাব-কবুলের শব্দগুলো শুনে তাহলে বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।

ইজাব-কবুলের আগে খুতবার শব্দগুলো পড়া না হলেও এতে বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব পড়বে না। (ফতোয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ, ৬১২২৫৩ ফতোয়া, ১২৬২-৯৫৩)

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

Ad

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //