জুমার দিনের কিছু আমল ও ফজিলত

শুক্রবার দিনকে জুমার দিন বলা হয়। ইসলামে জুমাবার একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘দিবসসমূহের মধ্যে জুমার দিন শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)।

অন্যান্য নামাজ থেকে এ নামাজের ফজিলত অত্যধিক, মর্যাদাও সীমাহীন। এমনকি এই নামাজের কারণে এ দিনের সম্মান বেড়ে গেছে বহু গুণ। হাদিসে এসেছে এ দিনের শ্রেষ্ঠত্বের কথা। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের মতো গোসল করে সবার আগে মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল, দ্বিতীয়তে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন একটি গরু কোরবানি করল, তৃতীয়তে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ছাগল কোরবানি করল। অতঃপর চতুর্থতে যে ব্যক্তি মসজিদে গেল সে যেন একটি মুরগি কোরবানি করল। আর পঞ্চমে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ডিম কোরবানি করল। অতঃপর ইমাম যখন বের হয়ে এসে মিম্বরে বসেন খুতবার জন্য, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুতবা শুনতে বসে যান। (সহিহ বুখারি, হাদিস-নং ৮৮১)।

জুমার দিন ফজিলতপূর্ণ হওয়ার কারণে তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমল। মিশে আছে ইসলামের অনেক বিধিবিধান। আমলের সুবিধার্থে সেগুলো ধারাবাহিকভাবে সংক্ষিপ্ত আকারে নিচে উল্লেখ করা হলো;

১. জুমার দিন ফজরের ফরজ নামাজে সুরা সাজদা ও সুরা দাহর/ইনসান তেলাওয়াত করা।
২. জুমার দিন ভালোভাবে গোসল করা।
৩. নিজের সবচেয়ে উত্তম পোশাক পরা।
৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা, যদি থাকে।
৫. জুমার নামাজের জন্য আগেভাগে মসজিদে যাওয়া।
৬. শুক্রবার দিন সুরা কাহফ তেলাওয়াত করা।
৭. মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজের আগে কমপক্ষে ৪ রাকাত সুন্নত আদায় করা।
৮. জুমার নামাজে ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসা।
৯. মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা। খুতবা চলাকালে কোনো কথা না বলা।১০. দুই খুতবার মাঝের সময়ে বেশি বেশি দোয়া করা এবং জুমার দিনের অন্য সময়ও দোয়া করা। কারণ এদিনে দোয়া কবুল হয়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //