ঢাকার পূজা, পূজার ঢাকা

প্রকৃতিতে যখন শরতের ছোঁয়া, আকাশে ঘুরে বেড়ায় সাদা মেঘ আর নদীর তীরে কাশফুল দোলে মোহনীয় ভঙ্গিমায়, থাকে সদ্য ফোটা পদ্ম আর শেফালির শুভ্রতাও-ঠিক তখনই সাড়া পড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাড়ায় পাড়ায়। আসেন দেবী দুর্গা, সবাই মেতে ওঠে শারদীয় দুর্গোৎসবে।

অশুভ সব শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা করতেই আবির্ভাব হয় দেবী দুর্গার। এই বিশ্বাস নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মহাসমারোহে উদযাপন করেন শারদীয় দুর্গাপূজা। রাজধানী ঢাকায়ও শুরু হয় উন্মাদনা। মণ্ডপে মণ্ডপে শিল্পীরা মনের মাধুরী দিয়ে তৈরি করেন দুর্গা প্রতিমাকে, রং-তুলির আঁচড়ে রাঙিয়ে তোলেন। শুধু প্রতিমা নয়, প্যান্ডেল আর আলোকসজ্জাতেও তাক লাগিয়ে দেওয়া হয় প্রতিবার। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পূজাম-পগুলো নিয়ে এবারের বিশেষ আয়োজন। 

চলতি বছর বাংলাদেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতে এবার পূজা হয় ২৪৬টি মণ্ডপে। 

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না

পুরান ঢাকার পলাশীর মোড়ের পাশে ঢাকেশ্বরী রোডেই মন্দিরটির অবস্থান। জাতীয় মন্দির হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই এই মন্দির বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দুর্গোৎসবের দিনগুলোতে এই মন্দির ঘিরে দর্শক ও ভক্তদের থাকে বাড়তি আগ্রহ। এখানকার দুর্গা প্রতিমা দর্শন না হলে যেন প্রতিমা দর্শনের আনন্দটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। মহালয়া থেকে বিজয়া দশমী, দুর্গাপূজার পুরোটা সময়জুড়েই এই মন্দির প্রাঙ্গণ ছিল জমজমাট। পূজার সময় ভক্তদের ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না মন্দিরটিতে। 

মণ্ডপের ভেতরে ও বাইরে চমৎকারভাবে সাজানো হয়। দেশ-বিদেশ থেকে ভক্ত দর্শনার্থীরা আসেন ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মায়ের পূজা দেখতে। বিজয়া দশমীতে বরণ, সিঁদুর খেলা ও সন্ধ্যা আরতি দেখার জন্যও ছিল প্রচুর মানুষের ভিড়। প্রতিমা নির্মাণে প্রতিবছর ভিন্নতা আনার চেষ্টা করা হয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে মায়ের প্রতি ভক্তি উৎসর্গ হয় প্রতি বছর নবরূপে। দুর্গাপূজার জন্য মন্দির প্রাঙ্গণেই রয়েছে দুর্গা মন্দির। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হলো, বিজয়া দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। ঘট বিসর্জন দেওয়া হয়। এ বছরের প্রতিমা পরের বছর বিসর্জন দেওয়ার পর নতুন প্রতিমা স্থাপন করা হয়। 

রমনা কালী মন্দিরের পূজা অনন্য

বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে যে নামটি অনন্যভাবে জড়িয়ে আছে তা হলো রমনা কালী মন্দির। ঢাকার মানুষের কাছে মন্দিরটি রমনা কালীবাড়ি নামে পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কাছাকাছি হওয়ায় মন্দিরটিতে সারা বছরই থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়। মন্দিরে ঘটা করে পালন করা হয় দুর্গাপূজাও। 

ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম এই মন্দিরের রয়েছে প্রায় হাজার বছরের বর্ণাঢ্য ইতিহাস। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী এই কালীমন্দির। ৭১ সালের ২৭ মার্চ রাতে এই মন্দিরের প্রধান পুরোহিতসহ শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মন্দিরের সবকিছু। কালীমন্দিরের চূড়া ছিল ১২০ ফুট, যা বহুদূর থেকে দেখা যেত। সেটিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বর্বর সেনারা। ২০০৬ সালে ভারত সরকারের অর্থায়নে মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ শুরু হয় এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ তা উদ্বোধন করেন। 

কালী মন্দিরটি ছাড়াও গত কয়েক বছরে দুর্গামন্দির, লোকনাথ মন্দির, গৌর মন্দিরসহ কিছু মন্দির নির্মিত হয়েছে। মন্দির প্রাঙ্গণের পুকুরে স্থাপন করা আছে শিব মূর্তি। এই মন্দিরেও দেবী দুর্গাকে দশমীর দিন বিসর্জন দেওয়া হয় না। পরের বছর পূজার আগে পুরাতন বছরের প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে নতুন প্রতিমা স্থাপন করে পূজা শুরু হয়। পূজাকে কেন্দ্র করে মন্দির এলাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাঠে বসে বেশ বড় মেলাও। পূজার প্রতিরাতে রমনায় ঢল নামে ভক্তসহ দর্শনার্থীদের। 

অষ্টমীতে জনস্রোত ছিল রামকৃষ্ণ মিশনমুখী

ঢাকার অনেক মণ্ডপে দুর্গাপূজা হলেও মহাষ্টমীর দিন আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে রামকৃষ্ণ মঠের পূজামণ্ডপটি। অষ্টমীতে মূল আকর্ষণ হলো কুমারী পূজা। প্রতিবছরই সবচেয়ে বড় পরিসরে ঢাকার একমাত্র কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয় গোপীবাগে রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠে। এবারও তার ছিল না ব্যতিক্রম। এবার অষ্টমীর সকাল থেকেই সবাই জড়ো হতে থাকেন রামকৃষ্ণ মিশনে। ঢাকের বাদ্য, কাঁসর ঘণ্টা, শঙ্খের আওয়াজ আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হয় পূজা প্রাঙ্গণ, চলে ভক্তি গীতি। বেলা ১১টায় শুরু হয় কুমারী পূজা, বেলা ১২টায় অঞ্জলি প্রদান ও প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

পূজার আগে কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন লাল শাড়ি, গয়না, পায়ে আলতা, ফুলের মালা এবং অলঙ্কারে সাজানো হয় দেবীরূপে। পদ্মফুল হাতে দেবী পূজার আসনে বসার পর মন্ত্রপাঠ আর স্তুতিতে তার বন্দনা করা হয়। এবারের পূজায় কুমারী রূপে দেবীর আসনে ছিল শতাব্দী গোস্বামী, তার বয়স ছয় বছর হওয়ায় শাস্ত্রমতে কুমারীর নাম ‘উমা’। রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী দেবধ্যানানন্দ বলেন, ‘নারী জাতিকে সম্মান জানানোর জন্যই আমরা কুমারী পূজা করি। সাধারণত এক থেকে ১৬ বছরের মেয়েরা কুমারী পূজার উপযুক্ত। তবে তাদের অবশ্যই ঋতুমতী হওয়া চলবে না।’

এছাড়াও শাস্ত্রে বর্ণিত দুর্গা প্রতিমার একচালা পূজা প্রচলনের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন। একচালা কাঠামোর প্রতিমার দেবী দুর্গার সন্তানরা একসঙ্গেই থাকেন। পুরো কাঠামোর পেছন জুড়ে থাকা চালায় আঁকা থাকে বিভিন্ন দেব-দেবীর ছবি। মঠের মাঠে অস্থায়ী মঞ্চে প্রতিমা স্থাপন করে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে জৌলুস নেই। শাস্ত্র মেনে সময়মতো সুষ্ঠুভাবে পূজা সম্পন্ন করাই মুখ্য। 

বনানীর মণ্ডপে ‘অভিজাতদের’ পূজা

নানা কারণে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ আলোচনায় থাকে। তবে ঢাকার ব্যয়বহুল মণ্ডপগুলোর একটি হলো বনানী পূজামণ্ডপ। দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে দুর্গাপূজা হচ্ছে বনানী মাঠে। গুলশান-বনানীর ধনাঢ্যদের এই আয়োজন বরাবরই আকর্ষণীয়। এবারের দুর্গাপূজায়ও এই আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। এবার পূজার তোরণ সাজানো হয় ফ্রেমে ফ্রেমে কলসি দিয়ে। মণ্ডপে প্রবেশ করার আগে দীর্ঘ রাস্তায় বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়। পূজা উপলক্ষে প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টলও বসে। প্রতিদিন পূজা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও সন্ধ্যায় ভোগ আরতির আয়োজন করা হয় এ মণ্ডপে। দশমীর দিনে গুলশান-বনানী এলাকায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। তারপর বিসর্জনের জন্য প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় আশুলিয়ায়।

তারুণ্যের উচ্ছ্বাস ছিল জগন্নাথ হলে

ঢাকার শিক্ষাঙ্গনের মধ্যে একমাত্র দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে। এমনিতেই ঢাবির যে কোনো উৎসবে থাকে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। জগন্নাথ হলে এবারও উদযাপিত হয় জাঁকজমকপূর্ণ দুর্গাপূজা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন হলটি হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ও উপজাতি ছাত্রদের জন্য সংরক্ষিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা হয়। তবে গত তিন দশক ধরে এখানে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে। দুর্গাপূজার রঙিন আলোকসজ্জায় সাজানো হয় হলের মূল ফটক থেকে শুরু করে প্রতিটা দালান, বড় গাছ এবং পুকুরপাড়। লাল, নীল, সবুজসহ বাহারি রঙে এক অন্যরকম রূপ নেয় জগন্নাথ হলের চারপাশ। যেন রঙের মেলা। এই আয়োজনে শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই না, বন্ধু বা সহপাঠীর আমন্ত্রণে অন্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাও উৎসবের আনন্দ উপভোগ করেন। 

পুরনো ঢাকায় পূজাতে দেখা মেলেনি রাস্তার

ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তেই পূজার আয়োজন রয়েছে। রয়েছে হরেক থিমের আয়োজন। তার পরও পুরনো ঢাকার পূজা মানে কোথায় যেন একটু আলাদা। উৎসবের অন্যরূপের সন্ধান মেলে পুরান ঢাকায়। লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারীবাজার, তাঁতিবাজার, সূত্রাপুর, শ্যামবাজার, মুরগিটোলা, প্যারীদাস রোড, কলতাবাজার, মদনমোহন দাস লেন, বাংলাবাজার গোয়ালনগর, জমিদারবাড়ি, গেন্ডারিয়া, ডালপট্টিসহ অলিতে-গলিতে দশ-পনেরো ফুটের সরু রাস্তার উপরেই বাঁশ-কাঠের অস্থায়ী মণ্ডপে অধিষ্ঠিত হন দেবী দুর্গা। রাস্তার বেশ উঁচুতে মণ্ডপের নিচে থাকে দর্শণার্থীদের হাঁটার পথ। পূজার সময় জমজমাট পুরো এলাকা। সরু গলি হওয়ায় হেঁটেই এসব মণ্ডপ ঘুরতে হয়, তাই হাতে সময় নিয়েই যেতে হয় পুরান ঢাকার পূজামণ্ডপগুলোতে। 

পুজার প্রতি রাতেই সন্ধ্যার পর থেকেই মানুষের ঢল নামে পুরান ঢাকায়। ধর্ম বা বর্ণের ভেদ নেই দর্শণার্থীদের। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের। পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে থেকেই ঢুকে যেতে হয় দশ ফুট চওড়া গলিতে। যতই এগোনো যায় ততই নতুন নতুন প্রতিমা। সবাই হাঁটছেন প্যান্ডেলের নিচের পথে। মাথার উপরের অস্থায়ী মণ্ডপের সামনে এসে একটু রয়ে-সয়ে দেখার সুযোগও কম। পিছন থেকে তাগিদ, ‘ভাই, এগোতে হবে।’

৪০ বা ৫০ গজের দূরত্বে একটার পর একটা পূজা দেখার সুযোগটাও ঢাকার তাঁতিবাজার বা লক্ষ্মীবাজারে এত দর্শনার্থীর ঢল নামার প্রধানতম কারণ। এখানে পূজা হয় ১৯টি মণ্ডপে। এর বাইরেও রয়েছে অনেকগুলো স্থায়ী মন্দির। ঘরোয়া পূজার উপচারে এখানকার পূজাগুলো হয়। এমনকি এই আয়োজন ঘিরে এসেছে মেলার আমেজও। ময়রার জিলিপি বা গজা কচুরির প্রায় হারিয়ে যাওয়া স্বাদের খোঁজও মেলে এখানেই।

উৎসবমুখরতায় একাকার ছিল মিডিয়া পাড়ার পূজা

ঢাকার গণমাধ্যমগুলোর অধিকাংশই কারওয়ানবাজার কেন্দ্রিক। এই কাওরানবাজারে দিনরাত চলে সাংবাদিকদের আড্ডাও। তাই তো এলাকায় ২০১৯ সালে সিনিয়র সাংবাদিক মুন্নী সাহার উদ্যোগে কাওরানবাজারে শুরু হয় এই পূজার চল। এই আয়োজনে সাংবাদিকরা ছাড়াও সম্পৃক্ত হন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। আয়োজকরা বলছেন, ‘সবাই মিলে বাংলাদেশ’-এই থিমকে উপজীব্য করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই পূজা। প্রতিমা কিংবা মণ্ডপ সাজসজ্জায় খুব বেশি জৌলুস নেই সেখানে। একেবারেই ঘরোয়া আয়োজনের মতোই পূজার আয়োজন থাকে। কোনো সংকোচ কিংবা অস্বস্তি ছাড়াই যে কেউ এখানে আসতে পারেন। 

খামারবাড়িতে ছিল ব্যতিক্রমী আয়োজন

প্রতিবছর দুর্গাপূজায় খামারবাড়ির মণ্ডপ তৈরিতে ধারার বাইরে গিয়ে ব্যতিক্রমী কিছু করার প্রয়াস লক্ষ করা যায়। এবারও প্রাচীন বিষয়গুলো আঁকড়ে ধরে ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন এই মণ্ডপে আলাদা মাত্রা যুক্ত করেছে। পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এবার খামারবাড়ির পুরো মাতৃমণ্ডপ তৈরি হয়েছে বাঁশ, বাঁশের তৈরি চাটাই ও বেড়া দিয়ে, যা মনে করিয়ে দেয় বাংলার লোকশিল্পের সেই আদি ঐতিহ্যকে। এর সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়া আনতে মণ্ডপে বসানো হয় ‘রোবটিক’ দুর্গা প্রতিমা। মহিষাসুর বধের সচল চিত্র তুলে ধরা হয় এই প্রতিমার মধ্য দিয়ে। আয়োজকরা জানান, এই মণ্ডপ নির্মাণে পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ প্লাস্টিক, সিনথেটিক, রড-সিমেন্ট ও ইট ব্যবহার করা হয়নি।

খামারবাড়িতে দুর্গাপূজার আয়োজক সনাতন সমাজ কল্যাণ সংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, লাভ ফর নেচার’-এই স্লোগান সামনে রেখে তারা এবার পুরো আয়োজনটি সাজান। ঐতিহ্যের সঙ্গে থিম-শিল্পের মিশেল ও আধুনিকতা ছিল তাদের এবারের পূজার মূল আকর্ষণ। 

এছাড়াও দেশের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন মন্দিরগুলোর মধ্যে সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, বাসাবো এলাকার রাজারবাগ কালীমন্দির, রায়ের বাজারের পাল সম্প্রদায়ের তিনশ বছরের পুরনো মহাপ্রভু আখড়া মন্দির, ধানমণ্ডির রায়েরবাজার নিমতলা মন্দির, স্বামীবাগের লোকনাথ মন্দির, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দিরসহ সবকটি মন্দিরের পূজায় ছিল উৎসবের আমেজ।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //