রমজানের প্রথম ১০ দিন পড়বেন যে দোয়া

দোয়া ছাড়া ইবাদত অসম্পূর্ণ থাকে। চলছে পবিত্র রমজান মাস। আল্লাহ বলেছেন রোজারত বান্দার দোয়া তিনি কবুল করেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসূল (সা.) আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। মাহে রমজানের তিনটি ভাগ রয়েছে। প্রত্যেক অংশেই আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের জন্য নিজের অনুগ্রহ নাজিল করেন।

এ বিষয়ে হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) শাবান মাসের শেষ দিন আমাদের মাঝে খতিব হিসেবে দাঁড়ালেন, বললেন (মাহে রমজান) এমন একটি মাস যার প্রথম ভাগ রহমত, মধ্যবর্তী ভাগ মাগফেরাত বা ক্ষমা আর শেষ ভাগে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়। অর্থাৎ, রমজান মাসের ৩০ দিনের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাতের এবং তৃতীয় ১০ দিন নাজাতের। (সহিহ ইবনে খুজাইমা, ১৮৮৭)

এই মাসে পবিত্র কুরআনুল কারিম অবতীর্ণ হয়েছে। এই মাসে আমাদের প্রকাশ্য দুশমন বিতাড়িত শয়তানকে দয়াময় আল্লাহ লোহার শেকল দ্বারা বন্দী করে রাখেন। এই মাসে জান্নাতের সব দরজা খুলে দেয়া হয়। জাহান্নামের দরজা বন্ধ রাখা হয়। এটা মহান আল্লাহর অফুরন্ত রহমতেরই প্রকাশ।

 প্রথম দশকে আমরা কুরআনে বর্ণিত একটি দোয়া বেশি বেশি পাঠ করতে পারি।

وَقُل رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ                  

উচ্চারণ: ওয়া কুর রব্বিগফির ওয়ার হাম ওয়া আনতা খইরুর রহিমিন।

অর্থ: ‘আর বলুন, হে আমার রব! ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, আর আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা মুমিনুন, আয়াত, ১১৮)

অথবা এই দোয়াটিও পড়া যেতে পারে— 

رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً وَّ هَیِّیٴۡ لَنَا مِنۡ اَمۡرِنَا رَشَدًا 

উচ্চারণ: রব্বানা আ-তিনা মিল্লাদুনকা রহমাহ, ওয়াহায়্যি’লানা মিন আমরিনা রশাদা।’ 

অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাদের অনুগ্রহ দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন।’ (সূরা কাহফ, আয়াত, ১০)

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //