শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে মানুষ আল্লাহর আদেশ অমান্য করে। গুনাহে লিপ্ত হয়। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে অশ্লীল বিষয়ে কল্পনা করতে নিষেধ করেছেন। অন্যায়ভাবে কোনোদিকে দৃষ্টিপাত করতে নিষেধ করেছেন। কারো সম্পদ আত্মসাৎ করতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে মানুষ এ ধরনের কাজ করে। এগুলো মানুষের গুনাহের পাল্লা ভারী করে। পরকালে জান্নাত লাভের পরিবর্তে জাহান্নামের শাস্তি ত্বরান্বিত করে।
মানুষ যখনই কোনো গুনাহ করে তার অন্তরে একটি কালো দাগ অঙ্কিত হয়। এর মাধ্যমে অন্তর কলুষিত হয়। অন্তর কলুষমুক্ত করতে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হয়। কিন্তু গুনাহ হয়ে গেলে একজন মুসলমানের প্রথম কাজ হলো- তওবা করা। তাওবা মানে গুনাহ থেকে প্রত্যাবর্তন করা, আল্লাহর কাছে ফিরে আসা।
হজরত আবু হুরায়রাহ রা. বর্ণিত এক হাদিসে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
মুমিন বান্দা যখন গুনাহ করে তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে। এরপর সে ব্যক্তি তওবা করলে ও ক্ষমা চাইলে, তার অন্তর পরিষ্কার হয়ে যায় (কালিমুক্ত হলো)। আর যদি গুনাহ বেশি হয় তাহলে কালো দাগও বেশি হয়। অবশেষে তা তার অন্তরকে ঢেকে ফেলে। এটা সেই মরিচা যার ব্যাপারে কোরআন মাজীদে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘এটা কখনো নয়, বরং তাদের অন্তরের উপর (গুনাহের) মরিচা লেগে গেছে, যা তারা প্রতিনিয়ত উপার্জন করেছে।’ (সূরা আল মুতাফফিফীন, আয়াত : ১৪)। (তিরমিজি, হাদিস :৩৩৩৪, ইবনু মাজাহ, হাদিস : ৪২৪৪, আহমাদ, হাদিস : ৭৯৫২)
অপর এক হাদিসে রাসূল সা. ইরশাদ করেন, মানুষের শরীরে একটি গোশতের টুকরা আছে। যদি এই গোশতের টুকরা ভালো হয়ে যায় তাহলে পূর্ণ শরীর ঠিক হয়ে যায়। আর যদি ওই গোশতের টুকরা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে পূর্ণ শরীর নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো! ওই গোশতের টুকরার নাম অন্তর। (মুসলিম, হাদিস : ১৫৯৯)
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh