উপবৃত্তির টাকা ফেরত যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ শিশুকে উপবৃত্তি দেয় সরকার। অনেকে উপবৃত্তির টাকা না তোলায় সেগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এ টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪৪ কোটি, যার মধ্যে ৯১ কোটি টাকা ইতোমধ্যে জমা দেয়া হয়েছে। বাকি ৫৩ কোটি টাকাও দ্রুত জমা হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। 

আজ শনিবার (৬ মার্চ) মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পড়ে থাকা এ অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয় গত বছরের জুনে মাসে। এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংককে চিঠি দিয়ে এ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়। এরপর রূপালী ব্যাংক ১৪৪ কোটি টাকার মধ্যে ৯১ কোটি টাকা গত জানুয়ারিতে জমা দিয়েছে এবং বাকি ৫৩ কোটি টাকা চলতি মার্চে জমা হবে বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ শিশুকে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আওতায় ‘প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্পের (তৃতীয় পর্যায়)’ এক কোটি ২১ লাখ পরিবার সুবিধাটি পাচ্ছে। প্রাথমিকের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাসে ১০০ টাকা ও প্রাক-প্রাথমিকে মাসে ৫০ টাকা করে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। উপবৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীর অভিভাবকের শিওর ক্যাশ অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, অনেক অভিভাবক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার না করায় টাকা পড়ে আছে। আবার অনেকে টাকা তুলতেই আগ্রহী না। কিছু ক্ষেত্রে অভিভাবকের নাম-ঠিকানাও ঠিক নেই। ফলে এ ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতিরও অভিযোগ রয়েছে।

তবে চলতি বছর থেকে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণে শিওর ক্যাশকে বাদ দিয়ে ‘নগদ’র মাধ্যমে বিতরণে করার চুক্তি হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ইউসুফ আলী বলেন, অনেক টাকা অ্যাকাউন্টে পড়ে আছে। বিষয়টি জানার পর টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রূপালী ব্যাংককে টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে তাগাদা দেয়া হয়েছে।

এদিকে অভিভাবকদের টাকা না তোলার কারণ খুঁজে বের না করে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তারা বলছেন, অভিভাবকরা এ টাকা সঞ্চয়ও করতে পারেন। প্রকৃত কারণ না জেনে টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া ঠিক নয় বলেও তারা মনে করছেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //