উপবৃত্তির তথ্য এন্ট্রিতে আরো ১০ দিন সময় বাড়লো

প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণে ডাটা এন্ট্রির সময় আরো ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে। নানা জটিলতায় তালিকা থেকে বাদ পড়া শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে ডাটা এন্ট্রি করতে পারবে বলে জানা গেছে। 

এই উপবৃত্তি বিতরণে ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’র সাথে চুক্তি হওয়ার পর নানা জটিলতার কারণে এখনো অনেক শিক্ষার্থী সার্ভারে এন্ট্রি করতে পারেনি। এসব শিক্ষার্থীকে সুযোগ দিতে চতুর্থ দফায় আরো ১০ দিন সময় দেয়া হলো। 

উপবৃত্তি প্রকল্প থেকে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ও (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কিস্তির সুবিধাভোগীর ডাটা এন্ট্রির জন্য নগদ পোর্টাল উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রথম কিস্তির ডাটা এন্ট্রির পর দ্বিতীয় কিস্তির ডাটা চালু হবে।

এর আগে ৪ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প থেকে এ শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি জন্য চতুর্থ দফা সময় বাড়িয়ে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশের সব বিভাগীয় শিক্ষা অফিস, জেলা অফিসে তা পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির সুবিধাভোগীদের তথ্য উপবৃত্তি ‘নগদ’ পোর্টালে আপলোডের জন্য ১৫ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে নগদের পোর্টাল উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এ সময়সীমা কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না।

এতে আরো বলা হয়েছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের চতুর্থ কিস্তির (এপ্রিল-জুন/২০২০) উপবৃত্তির অর্থ বিতরণের সময় প্রথম ধাপে সুবিধাভোগীদের তথ্য ও দ্বিতীয় ধাপে চাহিদাপত্র এন্ট্রি করা হয়েছিল। দুইটি পর্যায়ে কাজ করতে বেশি সময়ক্ষেপণ হয়েছে। এজন্য এখন হতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একবারেই চাহিদাসহ সুবিধাভোগীদের তথ্য এন্ট্রি করতে হবে।

এ বিষয়ে কোনো সমস্যা/অস্পষ্টতা থাকলে ডাটা এন্ট্রির নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রধান শিক্ষককে জেলা মনিটরিং কর্মকর্তা/নগদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কিংবা প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।

এর আগে সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় দফা তথ্য দেয়ার শেষ দিন ছিল। এরপরও যারা বাকি ছিল তাদেরও উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য এ সুযোগ দেয়া হয়েছে।

গত বছর ১৩ ডিসেম্বর উপবৃত্তি বিতরণের দশমিক ৭৫ পয়সা সার্ভিস চার্জ ধরে নগদের সাথে চুক্তি করে প্রাথমিক উপবৃত্তি প্রকল্প। চুক্তি অনুযায়ী, জিটুপি (সরকার টু পাবলিক) পদ্ধতিতে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করবে নগদ। উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন ও মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ডাটা এন্ট্রি বাধ্যতামূলক করা হয়। এতে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার কারণে শুরু থেকেই ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু করে নানা জটিলতায় পড়েন শিক্ষক-অভিভাবকরা।

পাশাপাশি নগদের সার্ভারে সমস্যা, মফস্বল এলাকায় ইন্টারনেটের ধীরগতি, মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকা ও প্রদত্ত ঠিকানায় গিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের খুঁজে না পাওয়ার কারণে ডাটা এন্ট্রির কাজ চলে ধীর গতিতে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //