ভারতে করোনায় একদিনে রেকর্ড ২৬২৪ জনের মৃত্যু

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো দুই হাজার ৬২৪ জন। এটিই এখন পর্যন্ত দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। করোনায় এ পর্যন্ত ভারতে মারা গেছে এক লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৪ জন।

ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) তা পৌঁছে গেল সাড়ে তিন লাখের দোরগোড়ায়। এটিই এখন এখন পর্যন্ত দেশটিতে ও বিশ্বে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৬ জন। সবমিলিয়ে গত বছর থেকে এখনো অবধি আক্রান্ত হলেন ১ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার ৪৮১ জন। সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে ভারতের অবস্থান বর্তমানে দ্বিতীয়তে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৩৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৩৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৯৭ জন। এছাড়া গত এক সপ্তাহ ধরে সক্রিয় রোগী বাড়ছে এক লাখেরও বেশি। যার জেরে দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হল ২৫ লাখ ৫২ হাজার ৯৪০। এত সংখ্যক করোনা রোগী এর আগে কখনো ছিল না দেশে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি নাগাদ সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী ছিল দেশে। এখনকার সংখ্যা সেই সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও দিল্লি। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৮৩৬ জন।

গত ১৫ এপ্রিল থেকেই দেশটিতে দৈনিক দুই লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে আজ টানা তৃতীয় দিনের মতো দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন লাখেরও বেশি।

ভারতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আরটি-পিসিআর ও অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ কোটি ৬১ লাখ ৯৯ হাজার ২২২টি নমুনা। -এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //