আদালতে হাজিরা কমানোর আবেদন সুচির

মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে বন্দি আছেন অং সান সুচি। সপ্তাহে সপ্তাহে হাজিরা দিতে হয় আদালতে। হাজিরা দিতে দিতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন বলে আদালতে জানান সুচি।

তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে সেনা সরকার। যার মধ্যে ভোটে কারচুপি, করোনাভাইরাসের নিয়ম না মানা, অবৈধ ওয়াকিটকি কেনা ও আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাগুলোর শুনানি চলছে মিয়ানমারের আদালতে। 

গতকাল সোমবার (৪ অক্টোবর) তেমনই এক শুনানিতে সুচি আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, তার হাজিরার সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হোক।

সুচির আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহে একবার শুনানির দিন ধার্য করার আবেদন জানিয়েছেন ৭৬ বছরের এই রাজনীতিবিদ।

এর আগেও দীর্ঘদিন গ্রেফতার ছিলেন সুচি। তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল সাবেক মিয়ানমারের সেনা সরকার। তবে রাজনৈতিক লড়াই লড়ে মিয়ানমারে তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠনের লড়াই লড়েছিলেন এবং শেষপর্যন্ত মিয়ানমারের সর্বোচ্চ নেতায় পরিণত হয়েছিলেন।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেই সুচির বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা করে সেনা। একদিনের মধ্যে সুচিকে গ্রেফতার করে শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় তারা। সুচির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। সুচি ছাড়াও অন্য মন্ত্রীদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।

মিয়ানমারে সেনাশাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারি থেকেও। তবে আন্দোলনকারীদের কঠোর হাতে দমন করছে সেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। 

সুচির আইনজীবী জানিয়েছেন, সুচির বড় কোনো অসুখ হয়নি। তবে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। সে কারণেই আদালতে ওই আর্জি জানানো হয়েছে।

এদিকে অদূর ভবিষ্যতে ১০ দেশের দক্ষিণ এশিয়া ফোরামের বৈঠকে বসার কথা। মালয়েশিয়া জানিয়েছে, মিয়ানমারের সেনা সরকারের প্রতিনিধিকে ওই বৈঠকে জায়গা দেয়া হবে না। সেনা যেভাবে দেশের মানুষের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে এবং যেভাবে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করা হয়েছে, তা এই দেশগুলো মেনে নেবে না। -ডয়চে ভেলে

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //