আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩৫ এএম
আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩৬ এএম
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩৫ এএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩৬ এএম
অর্থনৈতিকভাবে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে রাজধানী কলম্বোসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশটির প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত বাসভবনের কাছে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। এরপর রাতেই কারফিউ জারির ঘোষণা দেওয়া হয়।
এক বিবৃতিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক সিডি বিক্রমরত্নে জানান, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে কলম্বোর বেশিরভাগ জেলায়।
জানা গেছে, টানা ১৩ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় লোকজন সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনের বাইরে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। তারা রাজাপাকসের বাসভবন ঘেরাওয়ের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে কারফিউ জারির ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে বিক্ষোভ চলাকালে রাজাপাকসে তার বাসভবনে ছিলেন কিনা সেটি স্পষ্ট হওয়া যায়নি। দেশটির পুলিশও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট, গ্যাস ও পানির তীব্র সংকট, খাদ্য সংকট, প্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশচুম্বী দামসহ নানা সমস্যার বেড়াজালে আটকা পড়েছে শ্রীলঙ্কার মানুষ। গত বছরের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বাণিজ্য ঘাটতি দ্বিগুণ হয়ে এক দশমিক এক বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। গত মাসে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার। তাছাড়া জুলাইয়ে বন্ড পরিশোধে ব্যয় হয় এক বিলিয়ন ডলার। শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা বলছেন, ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়েনি দেশটির অর্থনীতি।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : শ্রীলঙ্কা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh