বাড়ির মালিকের সাথে নিজেকে বাজি ধরলেন দুই সন্তানের মা

জুয়ায় আসক্তি কোনও কল্পনীয় বিষয় নয়। এই আসক্তি চরম হয়ে পড়লে অবাক করা অনেক পরিস্থিতি দেখা দেয়। অনেক জুয়াড়িই হারতে হারতে টাকা-পয়সা শেষ হয়ে গেলে নিজেকেই তুলে ফেলেন বাজির দানে। সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রতাপগড়েও এমন অদ্ভুত ঘটনার কথা উল্লেখ করে পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন এক ব্যক্তি।

ভারতীয় ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের মা পরিবারের সঞ্চয়কৃত টাকা-পয়সাসহ নিজেকে বাজি ধরেছেন। তিনি কাজের জন্য বাড়ির বাইরে থাকতেন। প্রায়ই তার স্ত্রী বাজি ধরে লুডু খেলতেন বাড়ির মালিকের সাথে।

ওই ব্যক্তির আরো অভিযোগ, তিনি নিয়মিত স্ত্রীর কাছে বাড়িতে থাকা পাঠাতেন। কিন্তু তা সঞ্চয় বা পরিবারের জন্য কেনাকাটা না করে বাড়ির মালিকের সাথে লুডুতে বাজি ধরে উড়িয়ে দিতেন স্ত্রী। একদিন বেপরোয়া হয়ে নিজেকে বাজি ধরে বসেন। খেলায় হেরে গিয়ে বাজির শর্ত মেনে তার স্ত্রী বাড়ির মালিকের ঘরে চলে গেছেন, পরিত্যাগ করেছেন নিজের সন্তানদের।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এই নারীকে শুধু ‘রেনু’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তার স্বামী পুলিশের কাছে অভিযোগে বলেছেন, গত ছয় মাস রাজস্তানের জয়পুর শহরে কাজ করে যে টাকা তিনি পাঠিয়েছেন তা বাজি ধরে হেরেছেন রেনু। শেষে নিজেকে বাজি ধরে খেলতে গিয়েও হেরে যান তার স্ত্রী। তখন রেনু তাকে ফোন করে সবকিছু বলেন এবং জানান বাজির শর্ত অনুসারে তিনি বাড়ির মালিকের কাছে চলে যাচ্ছেন।

ঘটনা শুনে জয়পুরে কাজ থেকে বাড়িতে আসেন রেনুর স্বামী এবং সন্তানদের দায়িত্ব নেওয়ার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-কে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা সুবোধ গৌতম বলেন, আমরা ওই বাড়ির মালিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। যোগাযোগ করার পর আমরা তদন্ত শুরু করব।

অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, রেনুকে ফিরে পেতে পুলিশের সহযোগিতা প্রয়োজন পড়বে তার স্বামীর। কারণ তিনি দাবি করেছেন, বাড়ির মালিকের কাছে চলে যাওয়ার পর রেনুর সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং বাড়িতে ফিরে আসার জন্য রাজি করাতে চেয়েছেন। কিন্তু রেনু বাজির শর্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে অনড়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //