অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৪২ পিএম
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৫ পিএম
অনলাইন ডেস্ক
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৪২ পিএম
গৌতম আদানিকে ঘিরে বিতর্কের জেরে আজ সোমবারও (৬ ফেব্রুয়ারি) অচল হয়ে গেল ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষের অধিবেশন। এই শিল্পপতির বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অস্বাভাবিক নীরবতার প্রতিবাদে বিরোধীরা দুই সভাই অচল করে দেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিতে বিরোধীরা রাজি হলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আদানি প্রসঙ্গে ওঠা যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। অগ্রাধিকার এটাই।
বিরোধীরা দাবি করলেও মঙ্গলবার লোকসভা ও রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করবেন কি না, তার কোনো ইঙ্গিত সরকার দেয়নি। বিরোধীদের দাবি মেনে গত আট বছরে একবারের জন্যও প্রধানমন্ত্রী কোনো বিষয়ে সংসদে মুখ খোলেননি। কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি।
গত সপ্তাহের মতো সোমবার সকালেও পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরুর আগে রাজ্যসভার বিরোধী নেতা কংগ্রেস সদস্য মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকে ১৬টি বিরোধী দলের সদস্যরা যোগ দেন। সেখানে সভাকক্ষে বিরোধীদের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে কথা হয়। ঠিক হয়, সরকার নীরব থাকলে অধিবেশন চলতে দেওয়া হবে না।
যদিও সোমবার থেকেই রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপক প্রস্তাব আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিরোধীরা তা করতে দেননি। সরকারের বিবৃতির দাবিতে তাঁরা সরব থাকেন।
সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। ফলে প্রথমে বেলা দুইটা, তারপর সারা দিনের মতো দুই কক্ষের অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়।
ভারতের পার্লামেন্টে বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার সময়েই যুক্তরাষ্ট্রের হিনডেনবার্গ রিসার্চ এক গবেষণাপত্রে আদানি সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারচুপি করে ধনী হওয়ার অভিযোগ আনে। ওই প্রতিবেদনের ফলে আদানির সব প্রকল্পের শেয়ারের মূল্য মারাত্মকভাবে পড়ে যায়। অবস্থা এতই সঙিন হয়ে যায় যে আদানি এন্টারপ্রাইজের আনা নতুন শেয়ার বিক্রি হয়ে যাওয়ার পরও তা বাতিল ঘোষণা করতে হয়। শেয়ারবাজারের লোকসানের ফলে গৌতম আদানি বিশ্বের তৃতীয় ধনী থেকে নেমে যান ২২ নম্বরে।
সোমবারও আদানি সাম্রাজ্যের শেয়ারের দরপতন সেভাবে বন্ধ হয়নি। আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনের শেয়ার ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ ও এনডিটিভির শেয়ার ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি ছাড়া অন্য সব শেয়ারের দরপতন ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে আদানি ট্রান্সমিশনের, ১০ শতাংশ। আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি পাওয়ার ও আদানি উইলমারের দরপতন হয়েছে ৫ শতাংশ করে। অম্বুজা সিমেন্টের দাম পড়েছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ ও এসিসির ১ দশমিক ০৩ শতাংশ। বিতর্ক দানা বাঁধার পর থেকে গত ১০ দিনে আদানি গোষ্ঠীর মোট লোকসানের পরিমাণ ১১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় পৌনে ১০ হাজার কোটি রুপি।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh