ভারতের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম চারজনই নারী

ভারতের ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) পরীক্ষায় সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন নারীরা। এবারের পরীক্ষার ফলে প্রথম চারজনই নারী। এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে প্রথম তিনটি স্থান দখলে রেখেছিল তারা।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ইউপিএসসির ফল প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার। শীর্ষস্থানে রয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্রী ঈশিতা কিশোর। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন গরিমা লোহিয়া, তৃতীয় স্থানে রয়েছেন উমা হারাথি এন, চতুর্থ স্থানে রয়েছেন স্মৃতি মিশ্র। 

ঈশিতার মতো দ্বিতীয় স্থানাধিকারী গরিমা এবং চতুর্থ স্থানাধিকারী স্মৃতিও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। তৃতীয় স্থানাধিকারী উমা হায়দরাবাদ আইআইটির ছাত্রী।

২০২১ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছিলেন শ্রুতি শর্মা, অঙ্কিতা আগরওয়াল, গামিনী সিঙ্গলা।

২০২২ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে ১,০২২ শূন্যস্থান পূরণ করার লক্ষ্য ছিল ভারতের। তবে পরীক্ষায় পাশ করেছেন মোট ৯৩৩ জন। তাদের মধ্যে ৬১৩ জন পুরুষ। ৩২০ জন নারী। 

ভারতের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ এই পরীক্ষায় পাস করা প্রথম ২৫ জনের মধ্যে ১৪ জনই নারী। ১১ জন পুরুষ। পাশ করা প্রার্থীদের মধ্যে ৩৪৫ জন জেনারেল ক্যাটাগরির, ৯৯ জন আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির, ২৬৩ জন ওবিসি (অনগ্রসর শ্রেণির), ১৫৪ জন তফসিলি জাতি (এসসি), ৭২ জন তফসিলি উপজাতির (এসটি)। ১৭৮ জন সংরক্ষিত তালিকায় রয়েছে।

প্রতি বছর তিনটি ধাপে ইউপিএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়— প্রিলিমিনারি, রিটেন এবং ইন্টারভিউ। এই ইউপিএসসি পরীক্ষার মাধ্যমেই ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস), ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস (আইএফএস), ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস (আইপিএস) এর কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। 

গত বছরের ৫ জুন ইউপিএসসির প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়েছিল। ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৭ জন পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় বসেছিলেন ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৭৩৫ জন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে হয় ইউপিএসসির লিখিত পরীক্ষা। সেখানে বসেছিলেন ১৩ হাজার ৯০ জন। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে ইন্টারভিউয়ের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন ২,৫২৯ জন।