রাহুলের সাজা স্থগিত, ফিরছেন লোকসভায়

ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত যে রায় দিয়েছিল তা স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। ফলে তিনি লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পাবেন। এমন কি আগামী বছরের নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন।

আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি বেঞ্চে রাহুল গান্ধীর আপিলের শুনানি হয়।

রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, সন্দেহ নেই রাহুল গান্ধী ‘মোদি’ পদবি নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা ভালো রুচির পরিচয় দেয় না। বক্তৃতার সময় তাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। তবে গুজরাটের নিম্ন আদালত তাকে দুই বছরের যে কারাদণ্ড দিয়েছে, তার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এ রায়ের মধ্য দিয়ে রাহুল গান্ধীকে যারা ভোট দিয়েছেন তাদেরও শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ২০১৯ সালে এক রাজনৈতিক সমাবেশে রাহুল গান্ধী বলেন—যাদের পদবি মোদি তারা সবাই কেন জানি চোর। যার জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ সব মোদি পদবিধারীদের অপমান করা হয়েছে—এমন অভিযোগে গুজরাটের নিম্ন আদালতে একটি মানহানি মামলা করেন রাজ্যটির বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি।

গত মার্চে সেই মামলার রায়ে রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ফলে দণ্ডিত ব্যক্তি হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লোকসভার সদস্যপদ হারান কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা । 

রায়ের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধী প্রথমে গুজরাটের হাইকোর্টে আপিল করেন। কিন্তু হাইকোর্ট তা বাতিল করে নিম্ন আদালতের শাস্তি বহাল রাখা হয়। এরপর মামলা সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়। এ অবস্থায় শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট গুজরাটের নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত করেন। 

সুপ্রিম কোর্টে ৭৩১ পাতার আপিলে রাহুল গান্ধী দাবি করেন, আমার বক্তৃতা ছিল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কার্যক্রমের অংশ। আমাকে যে দণ্ড দেওয়া হয়েছে, গণতান্ত্রিক বাকস্বাধীনতার পথে বড় ধরনের বাধা। 

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তাৎক্ষণিকভাবে রাহুল গান্ধীর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের উল্লাস ও মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা গেছে।