পারমাণবিক ডিভাইস তৈরিতে সম্ভাব্য ব্যবহারযোগ্য তেজস্ক্রিয় পদার্থের পাচার ঠেকাতে সীমান্তে এ ধরনের শনাক্তকরণ সরঞ্জাম বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী চার দেশের সীমান্তে সেগুলো স্থাপন করা হবে।
আজ রবিবার (১৫ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এখন তথ্য উঠে এসেছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং নেপালের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে আটটি স্থল পারাপারের পয়েন্টে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্তকরণ সরঞ্জাম বা রেডিয়েশন ডিটেকশন ইকুইপমেন্ট (আরডিই) স্থাপন করা হবে। শিগগিরই এসব সরঞ্জাম সীমান্তে বসবে বলে জানান ভারতীয় কর্মকর্তারা।
আরডিই সরঞ্জামগুলো স্থাপন করা হবে-পাকিস্তান সীমান্তের আটারি, বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল, আগরতলা, ডাউকি ও সুতারকান্দি, নেপালের রক্সৌল ও জোগবানি (নেপাল) এবং মিয়ানমারের মোরে সীমান্তে সমন্বিত চেক পোস্ট এবং স্থলবন্দরে।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভারত সরকার আটটি চেকপোস্টে এই তেজস্ক্রিয়তা শনাক্তকরণ সরঞ্জাম সরবরাহ, স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত বছরই চুক্তি সম্পাদন করেছে। বিক্রেতা সংস্থা শিগগিরই সরবরাহ এবং স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করবে।
আরডিই স্থাপনের জন্য ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি বিদেশি সংস্থার প্রযুক্তিগত সহায়তা নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক সীমান্তে তেজস্ক্রিয় পদার্থের পাচার নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যেই ভারতের কেন্দ্র সরকার আরডিই স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। যেখানে উল্লেখিত আটটি চেকপোস্টে বিপুলসংখ্যক মানুষ চলাচল করে এবং পণ্য পরিবহন করা হয়।
অবশ্য পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখন বেশ শীতল। এ কারণে আটারি চেকপোস্ট দিয়ে মানুষ চলাচল ও পণ্য পরিবহন ব্যাপকভাবে কমে গেছে। তবে বাকি দেশের চেকপোস্টগুলো দিয়ে মানুষ চলাচল ও পণ্য পরিবহন বেশ রমরমা।
কর্মকর্তারা বলছেন, চেকপোস্টগুলোতে নিয়োজিত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো আন্তসীমান্ত কার্গো চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে আরডিই ব্যবহার করতে পারবে।
আরডিই গামা এবং নিউট্রন বিকিরণ সম্পর্কে সতর্ক করতে পারে। পাশাপাশি এটি সন্দেহজনক বস্তুর ভিডিও ফ্রেমও তৈরি করতে সক্ষম।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh