রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের মামলায় অভিযুক্ত ইমরান খান

রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশিকে অভিযুক্ত করেছেন পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত।

আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের ওই বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আল হাসনাত জুলকারনাইন পিটিআইয়ের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা রয়টার্স বলছে, ইমরান খানকে অভিযুক্ত করার ফলে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে নতুন করে ধাক্কা খেলো। তবে মামলার শুনানি আপাতত মুলতবি করা হয়েছে। 

দোষী সাব্যস্ত হলে আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কারাবন্দী এ নেতার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। কারণ অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে দোষী সাব্যস্ত হলে এ মামলায় ১৪ বছর জেল এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

মূলত অভিযোগটি গত বছর ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের ইসলামাবাদে পাঠানো একটি গোপনীয় নথির সঙ্গে সম্পর্কিত। যা প্রকাশ করার জন্য ইমরান খান অভিযুক্ত হয়েছেন। তবে ইমরান খান ও কুরেশি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ইমরান খান বলেছেন, ২০২২ সালে মস্কো সফর করার পর তার সরকারের পতনের জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও মার্কিন সরকারের ষড়যন্ত্রের প্রমাণ ছিলো নথিটি। যদিও ওয়াশিংটন ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।