‘১.৯০ কোটি বাংলাদেশি হিন্দুর বোঝা ভারতকে বহন করতে হবে’

ভারতে খুব শিগগিরি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ কার্যকর করার তৎপরতার মধ্যেই বিজেপিশাসিত আসামে বিতর্কিত ওই আইনের তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়েছে। আর এ নিয়ে শনিবার গুয়াহাটি মহানগরের লক্ষ্মীধর বরা ক্ষেত্রে সিএএ  বা ‘ক্যা’ বিরোধী  সমন্বয়রক্ষী কমিটির উদ্যোগে এক সমাবেশে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আইনটির তীব্র বিরোধিতা করেন। এ সময় তারা ওই আইনের বিরোধিতা করার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন। 

সমাবেশে বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, আইনটির বিরোধিতা করে আসছি, ভবিষ্যতেও করে যাব। দমনপীড়ন চললেও 'সিএ এ' কখনই মেনে নেব না। প্রয়োজনে পদত্যাগ করে ‘ক্যা’ বিরোধী আন্দোলনে আবার ঝাঁপিয়ে পড়ব।

এদিকে অখিল গিরির দাবি আইনটি রূপায়ন হলে সংকটের মুখে পড়বে অসমিয়া জাতি। এটি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ১৫/২০ লাখ মানুষ নাগরিকত্ব পাবেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশে বসবাসরত ১.৯০ কোটি হিন্দু আসামে আসার সুযোগ পাবেন। সব মিলিয়ে অসমকে ১.৯০ কোটি বাংলাদেশি হিন্দুর বোঝা বহন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন বিধায়ক অখিল গিরি।

বিধায়ক মনোরঞ্জন তালুকদার বলেছেন, ‘ক্যা’ সম্পূর্ণরূপে অসাংবিধানিক এবং সাম্প্রদায়িক। আইনটি আসামে ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনবে। সেজন্য কোনো অবস্থাতেই তারা ‘ক্যা’ মেনে নেবেন না।

অন্যদিকে অজিত ভুঁইয়া এমপি’র মতে, অসমিয়া জাতির জন্য সর্বনাশ ডেকে আনবে ‘ক্যা’। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি হীরেন গোঁহাইয়ের দাবি- ‘ক্যা’ বাস্তবায়িত হলে দেশের বৈচিত্র  ধ্বংস হয়ে যাবে। বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি হবে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ/ক্যা তৈরি করলেও তার বিধি তৈরি না হওয়ায় এটি কার্যকর হয়নি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রী খুব শিগগিরি ওই আইন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন। বিতর্কিত ওই আইনে ‘মুসলিমদের বাদ’ দিয়ে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

সূত্র: পারসটুডে

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //