সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারে নতুন ভাসমান চৌকি বসিয়েছে ভারত

বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে ভারত। বিশেষ করে জলপথে নজরদারির ওপর জোর দিয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। সুন্দরবনসহ পূর্বাঞ্চলীয় জলপথকে সুরক্ষিত রাখতে নতুন ভাসমান চৌকি স্থাপন করছে তারা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪ হাজার কিলোমিটার জলপথ সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে ভারত। সূত্রমতে, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের আওতাধীন সমস্ত নদীতে এবং সুন্দরবনে নতুন ভাসমান বর্ডার চৌকি বসিয়েছে।

ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা এবং সুন্দরবন জুড়ে বিস্তীর্ণ জলপথে ৫৩ টিরও বেশি আন্ত-সীমান্ত নদী ও খাল রয়েছে।

বিএসএফের একজন কর্মকর্তা নিউজ ১৮-কে জানিয়েছেন, ‘জলপথ সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা ২৪ ঘণ্টা এই এলাকাগুলোতে টহল দিচ্ছি। নতুন ভাসমান চৌকি নিঃসন্দেহে আমাদের সক্ষমতা বাড়াবে। এটি সময়ের দাবি।’

দেশটির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, সব দিক থেকে নজরদারি এখন জরুরি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১০ দিনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তিনজন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মুর্শিদাবাদে আমানুল্লাহ বাংলা টিমের দুজন স্লিপার সেলের সদস্য এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে তেহরিক-উল-মুজাহিদিনের জাভেদ মুনশি।

নিউজ ১৮ সূত্র জানিয়েছে, ‘পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের আওতাধীন নদীগুলো অনেক বড় এবং এগুলো সুরক্ষিত রাখা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দরবনে নতুন চৌকি স্থাপন করা হয়েছে এবং অন্য এলাকায়ও তা বাড়ানো হবে।’

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ১৯৭০ সালের আগে পাকিস্তানি জঙ্গিরা জলপথ ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবেশ করত। বাংলাদেশের ক্ষমতার পরিবর্তন আবারও এই প্রবণতাকে উৎসাহিত করতে পারে।

ভারতের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জাভেদ জলপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।

সূত্র আরও জানিয়েছে, জাভেদ ভারতে এসেছে জলপথের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে। কেরালা থেকে গ্রেপ্তার আমানুল্লাহ বাংলা টিমের সাদ রাদিও মুর্শিদাবাদ হয়ে একাধিকবার ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। এটি স্পষ্ট যে জঙ্গিরা এখন জলপথকেই বেছে নিচ্ছে।

শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মতে, বাংলাদেশ বর্তমানে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে, ফলে জলপথে নিরাপত্তা বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh