পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির মধ্যেই এবার বেড়েছে চালের দাম। মানভেদে চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মৌসুম শেষে চালের সরবরাহ কমায় এই দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, কৃষক ও ভোক্তার সমন্বয় করে চাল আমদানি নীতিমালা করেছে সরকার। যাতে করে কৃষকদের ন্যায্য মূল্য দেয়ার পাশাপাশি ভোক্তারাও সুলভ মূল্যে চাল কিনতে পারেন। কোনো ব্যবসায়ী এই মুহূর্তে সিন্ডিকেট করে চালের মূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করলে, তাদের চরম মূল্য দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পরও রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, যা আগে ছিলো ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা। নাজিরশাইল চালের দামও কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে, ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মাঝারি মানের চালের দাম বেড়ে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা হয়েছে।
আড়তে চিকন চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, যা আগে ছিলো ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। আর মাঝারি মানের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, যা আগে ছিলো ৪০ থেকে ৪২ টাকা।
খুচরা বজারে চালের দাম বাড়ার বিষয়ে খিলগাঁও তালতলার চাল ব্যবসায়ী জানে আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে চালের দাম বাড়তি। যা খবর শুনছি সামনে চালের দাম আরও বাড়বে। ইতোমধ্যে রশিদের মিনিকেট ২৫ কেজির বস্তা আমাদের কিনতে হচ্ছে এক হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে। কিছুদিন আগে এই চাল আমরা এক হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি করেছি।’
চালের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁওয়ের ন্যাশনাল রাইস মিলের কর্ণধার মোহাম্মদ হাসান রাজু বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে এখন আমরা মাঝারি মানের চাল ৪২ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি করছি। চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। চালের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে তার মূল কারণ ছোট ছোট হাসকি মিলগুলো এখন চলে না। সারাদেশে এক হাজারের মতো হাসকি মিল বন্ধ রয়েছে। শুধু বড় বড় অটো মিলে চাল উৎপাদন হচ্ছে। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই বাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে। আর সরবরাহ কমে গেলে দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।’
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh