ঈদে ওয়ালটন ফ্রিজ বিক্রির ধূম

দুয়ারে ঈদুল ফিতর, রোজার ঈদ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বেশিরভাগ চাকরিজীবী এখন প্রতিদিন বাজার করার পরিবর্তে একসঙ্গে পুরো সপ্তাহের নিত্য প্রয়োজনীয় কিনছেন। বাসায় ফ্রিজ না থাকায় একসঙ্গে অনেক খাবার সংরক্ষণে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। তাই সেরা দামে সেরা মানের ফ্রিজ কিনতে ক্রেতারা ছুটছেন দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের শোরুমে। ফলে ঈদের আগমুহূর্তে ওয়ালটন ফ্রিজ বিক্রির ধূম পড়েছে।

জানা গেছে, মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স, আইটি ইত্যাদি পণ্যের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সারা দেশে চালু রাখা হয়েছে ওয়ালটনের শোরুম। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে ওয়ালটন শোরুম বিক্রয় প্রতিনিধিরা ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন পছন্দের ফ্রিজ। আবার করোনা পরিস্থিতিতে ক্রেতারা ঘরে বসে ফোন করলেই কাছাকাছি প্লাজা অথবা ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধায় ওয়ালটন ফ্রিজ ফ্রি হোম ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে।

এদিকে বিক্রয়োত্তর সেবা অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১০। এর আওতায় রোযায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন সর্বোচ্চ নগদ ১ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন অংকের কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। 

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ড হিসেবে করোনাকালে দেশের মানুষের হাতে সাশ্রয়ী দামে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য তুলে দেয়া ওয়ালটনের দায়িত্ব। ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে ওয়ালটন পণ্যে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সব প্রযুক্তি ও সর্বাধুনিক ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে। তাই, ওয়ালটন ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা রাখছেন ক্রেতারা। ওয়ালটন এখন ‘ভিশন ২০৩০’ পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে ওয়ালটন। 

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক জানান, স্থানীয় বাজারে এ বছর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের সর্বোচ্চ সংখ্যক মডেলের ফ্রিজ ছাড়ায় বিক্রিও হচ্ছে আশাতীত। এরইমধ্যে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ওয়ালটন ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে ৮ লাখেরও বেশি। রোজার ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটন এনেছে আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংকস) বেজড সাইড বাই সাইড ডোরের নতুন মডেলের স্মার্ট ফ্রিজ এনেছে। বিশ্বের যেকোনে প্রান্তে বসে মুঠোফোনে এই স্মার্ট ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আছে অত্যাধুনিক আরো নানা ফিচার। উচ্চ আয়ের ক্রেতাদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটন এই স্মার্ট ফ্রিজ। আর তাই রোজায় এবং ঈদে ফ্রিজ বাজারে ওয়ালটনের একচেটিয়া আধিপত্য।  

জানা গেছে, ওয়ালটনের সাইড বাই সাইড ডোর মডেলের স্মার্ট ফ্রিজ ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির। ফলে ফ্রিজে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। ফ্রিজের আয়োনাইজার সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে জীবাণু ধ্বংস করতে সক্ষম। আছে ডোর অ্যালার্ম, হিউম্যান ডিটেক্টরসহ অত্যাধুনিক নানা ফিচার। ডিজাইনেও রয়েছে আভিজাত্যের ছাপ। 

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুল রেজা জানান, করোনা মহামারি, লকডাউন ও রোজার ঈদ- সার্বিক পরিস্থিতিতে ফ্রিজের গ্রাহকচাহিদা বেশ ভালো। ওয়ালটন ফ্রিজ ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, দামে সাশ্রয়ী, গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড, অসংখ্য যুগোপযোগি বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও মডেল, সহজ কিস্তি সুবিধা, ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসারে ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা এবং দেশব্যাপী বিশাল সেলস ও সার্ভিস নেটওয়ার্ক থাকায় ঈদে ফ্রিজ কেনার ক্ষেত্রে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের প্রতিই আস্থা রাখছেন গ্রাহকরা। 

এদিকে ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য রয়েছে এক লাখ টাকা নগদসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশভাউচার সুবিধা। এছাড়া ক্রেতাদের ক্যাশ অন ডেলিভারি, সহজ কিস্তি ও ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধায় ওয়ালটন ফ্রিজ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ফলে রোজায় ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রিও বেশ ভালো। 

প্রকৌশলীরা জানান, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। এসব ফ্রিজে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর 600A রেফ্রিজারেন্ট। নিজস্ব কারখানায় উচ্চমানের টেম্পারড গ্লাসে তৈরি হচ্ছে গ্লাসডোর ফ্রিজ।  ন্যানো হেলথ কেয়ার প্রযুক্তি, ডিরেক্ট ইভাপোরেটিভ কুলিং সিস্টেম (ডিইসিএস), ওয়াইড ভোল্টেজ রেঞ্জ, কুল প্যাক (বিদ্যুৎ ছাড়াই ফ্রিজের অভ্যন্তর দীর্ঘক্ষণ ঠাণ্ডা রাখার প্রযুক্তি), এন্টি ফাংগাল গ্যাসকেট, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্রের ব্যবহার ইত্যাদি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উচ্চমানের উপাদান ব্যবহারের ফলে ওয়ালটন ফ্রিজ টেকসই, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত।  

ওয়ালটন প্লাজায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতাকে সাইড বাই ডোর মডেলের স্মার্ট ফ্রিজ দেখাচ্ছেন একজন বিক্রয় প্রতিনিধি। 


কর্তৃপক্ষ  জানায়, ফ্রিজ উৎপাদন ও রফতানিতে ইতোমধ্যে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। ফলে স্থানীয় বাজারে ওয়ালটন ফ্রিজের মার্কেট শেয়ার প্রায় ৭৫ শতাংশ। দেশের সেরা রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ডের মর্যাদাস্বরূপ ওয়ালটন ফ্রিজ সাতবার ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে। এছাড়া ওয়ালটন ‘সুপার ব্র্যান্ড ২০২০’ খেতাব পাওয়ার পাশাপাশি ২০২১ সালের জন্য ‘সুপারব্র্যান্ড’ এর সম্মাননা পেয়েছে। দেশের গণ্ডী পেরিয়ে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজ এখন রফতানি হচ্ছে বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে। শিগগিরই অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা এবং ইউরোপের বাজারে ফ্রিজ রপ্তানি শুরু করবে বাংলাদেশি এই ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট।

উল্লেখ্য, ওয়ালটন বর্তমানে ১০,৯৯০ টাকা থেকে ৮০,৯০০ টাকার মধ্যে দেড় শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার উৎপাদন এবং বাজারজাত করছে। এসব ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড গ্লাস ডোরের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, বিএসটিআইয়ের সর্বোচ্চ এনার্জি এফিশিয়েন্সি ‘ফাইভ স্টার’ রেটিং প্রাপ্ত রেফ্রিজারেটর। এসব ফ্রিজে ব্যবহৃত হচ্ছে ডিইসিএস টেকনোলজি সমৃদ্ধ থ্যালেটমুক্ত গ্যাসকেট, শতভাগ কপার কনডেনসার, ওয়াইড ভোল্টেজ ডিজাইন। ফলে এসব ফ্রিজে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। দেশজুড়ে প্রায় ৪০০ টি ওয়ালটন প্লাজাসহ ১৭ হাজারেরও বেশি আউটলেটের মাধ্যমে ওয়ালটন ফ্রিজ পৌঁছে যাচ্ছে দেশের প্রতিটি ঘরে। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //