ঢাকার খুচরা বাজারে এক মাসের ব্যবধানে রসুনের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম কমেছে কিছুটা। গতকাল শুক্রবার (৩ জুন) ঢাকার বিভিন্ন বাজারে আমদানি করা রসুন ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, দেশি রসুন মিলছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।
আটা ও ময়দার দাম আরেক দফা বেড়েছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযানের মধ্যেও সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে।
বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহ যে রসুন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা বিক্রি হয়েছিল, এখন তা ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে তারা জানান।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার দরের তালিকায় দেখা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২ জুন) খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। আর এপ্রিলে আমদানি করা রসুনের দাম ছিল ১০০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে দেশি রসুনের চেয়ে আমদানি করা রসুনের চাহিদা বেশি। আমদানি করা রসুনের দাম বাড়ার পাশাপাশি দেশি রসুনের দামও বেড়েছে। গত এক মাসের ব্যবধানে দেশি রসুনের দামও বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। এপ্রিলে এই রসুন বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
রাজধানীর রামপুরা বাজারের এক মুদি দোকানি বলেন, রসুনের দাম এত বেশি বেড়েছে যে এখন কাস্টমারদের বিশ্বাস করাতে পারছি না। কোনো জিনিসের দর বেশি বেড়ে গেলে আমরাও সমস্যার মধ্যে পড়ে যাই। তখন কাস্টমার বেশি দর কষাকষি করে, কিন্তু আমরা তো লস দিয়ে বিক্রি করতে পারি না।
রসুনের দাম এতটা বাড়ার বিষয়ে ঢাকার শ্যামবাজারের আড়ৎদার আব্দুল কুদ্দুস বলেন, দেশের বাইরে থেকে যেসব রসুন আসে তার সরবরাহ কম, আমদানিও কমেছে, ব্যয়ও বেড়েছে। সে কারণে দাম বেড়েছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : রসুন খুচরা বাজার বিক্রি
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh