সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও মাছের বাজারে আগুন

বর্তমানে বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে দেশে পেঁয়াজ আমদানি হলেও তেমন প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। আজ শুক্রবার (৯ জুন) রাজধানী বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

শান্তিনগর কাঁচা বাজার ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি ডায়মন্ড আলু ৪০ টাকা, বগুড়ার আলু ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, চায়না গাজর ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, চিকন লতি ৮০ টাকা, কেপসিকাম ২৫০ টাকা, কচুর মুখি ৯০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে পুঁইশাকের আঁটি ৫০ টাকা, লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, ডাটাশাকের আঁটি ৩০ টাকা, লাউশাকের আঁটি ৪০ টাকা, পাটশাকের আঁটি ১৫ টাকা, কলমিশাকের আঁটি ১০ টাকা, কচুশাক ছোট আঁটি ১৫ টাকা।

এছা্ড়া লাউ আকার ভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা, জালিকুমড়া প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি চির ৩০ টাকা, এলাচি লেবুর হালি ৩০ টাকা, কলম্বো লেবুর হালি ৩০ টাকা, কাগজি লেবুর হালি ৩০ টাকা, বম্বে মরিচের হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস ৭৭০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসি ১১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩১০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিম প্রতিটি ১২ টাকা, এক হালি ৪৮ টাকা ও ডজন ১৪০ টাকা। প্রতিটি হাঁসের ডিম ১৫ টাকা, এক হালি হাঁসের ডিম ৬০ টাকা ও ডজন ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম কমলেও মাছের দাম বেশ চড়া। মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙ্গাশ ২০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৮০ টাকা, রাজশাহীর  কই ২৬০ টাকা, শোল মাছ ৭০০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ টাকা, মেঘনা নদীর চিংড়ি প্রতি কেজি ১১৫০ টাকা, ফলিমাছ ৪০০ টাকা, গুলশা টেংরা ৫৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, বড় টেংরা ৭০০ টাকা, কাতল ৩৫০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শান্তিনগরে বাজার করতে আসা জাকির মিয়া বলেন, ‘মাছ, মাংস, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রতিদিনের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হয়। এই দুঃখ যে কাকে বলি, বাজার নিয়ে হতাশার মধ্যে আছি।’

চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নাজিরশাইল পুরাতন ৮০ টাকা, নাজিরশাইল নতুন ৭০ টাকা, মিনিকেট পুরাতন চাল ৭৫ টাকা কেজি, মিনিকেট নতুন চাল ৭০ টাকা, আটাশ চাল ৬০ টাকা, হাস্কি চাল পুরাতন ৬০ টাকা, নতুন হাস্কি ৫৮ টাকা, পাইজাম চাল ৫৬ টাকা, গুঁটি চাল ৫২ টাকা, চিনিগুঁড়া আতপ চাল ১৪০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৫৫ টাকা, বিআর ২৯ চাল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাল ব্যবসায়ী রহমান বলেন, ‘চালের দাম আগেই বাড়ানো হয়েছিল। এখন আর বাড়েনি। এজন্য আগের দামেই বিক্রি করছি।’ এদিকে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, তীর, রূপচাঁদা, ফ্রেস সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৯৯ টাকা এবং পাঁচ লিটারের ৯৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ইন্ডিয়ান শুকনো মরিচের কেজি ৫০০ টাকা, তেজপাতা ২৫০ টাকা, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৫০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুর ডাল ১১০ টাকা, ইন্ডিয়ান এঙ্কর ডাল ৮০ টাকা, অস্ট্রেলিয়ার ছোলা ৯০ টাকা, দেশি আদা ৩৫০ টাকা, আমদানি করা চীনা আদা ৫০০ টাকা, মিয়ানমারের আদা ৩৬০ টাকা, ভিয়েতনামের আদা ৩০০ টাকা, ইন্দোনেশিয়ার আদা ৩২০ টাকা, থাইল্যান্ডের আদা ৩৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, দেশি রসুন ১৬০ টাকা, চায়না রসুন ১৭০ টাকা, জিরা ৯০০ টাকা, এলাচ ৪০০০ টাকা, ধনিয়া ২২০ টাকা, লবঙ্গ ১৮০০ টাকা, গুঁড়া মরিচ ২৯০ টাকা, দারুচিনি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা তো মাঠে সব সময় কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতেও কাজ করে যাব।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //