রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কাঁচা মরিচের বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বুধবার (৬ জুলাই) রাত ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে রাত ১ টা পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জাব্বার মন্ডলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক (প্রধান কার্যালয়) মো. শরিফুল ইসলাম ও সোহেল চাকমা।
সম্প্রতি চড়া দামে অস্থির হয়ে পড়েছে দেশের বাজার। পাল্লা দিয়ে যেন প্রতিদিনই বাড়ছে আর কমছে পণ্যটির দাম যা কিনা সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে।
এর আগে গত রবিবার (২ জুলাই) রাজধানীতে কাঁচা মরিচের সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ৫০০-৬০০ টাকা কেজি। আর এমন পরিস্থিতিতে দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হলে বাজারে দামের কিছুটা স্বস্তি দেখা গেলেও আবারও তা ২৫০-৩০০ টাকা কেজিতে দাঁড়িয়েছে।
এমন অবস্থায় সরেজমিনে কারওয়ান বাজারে কাঁচা মরিচের প্রকৃত দাম দেখতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে মধ্যরাতে এই অভিযানের আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অভিযান শেষে আব্দুল জব্বার মণ্ডল সাম্প্রতিক দেশকালকে বলেন, আজকে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মরিচগুলো কোথা থেকে আসছে, কেমন দামে আসছে এবং সেগুলো এখানে এসে কত দামে বিক্রি হচ্ছে ও এই প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনো কারসাজি আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা।
সরেজমিন দেখার পর এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন অফিসে জমা দেওয়া হবে।আর তার ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারিত হবে।
তিনি বলেন, প্রান্তিক চাষীদের কাছ হতে কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও বলেন, মূলত কেন বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে সেই গ্যাপটি খুঁজে বের করব আমরা। এছাড়াও দোকানভেদে দামের তারতম্য দেখা গেছে। এমনকি দোকানিরা মৌখিকভাবে দাম নির্ধারণ করে থাকছেন।
এদিকে কর্মকর্তাদের সঙ্গে অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, প্রথম দোকানে চালান না থাকায় তাদেরকে সতর্ক করা হয়। পরে দ্বিতীয় দোকানিকেও সতর্ক করা হয়।এসময় অভিযানিক দল বাজারে মোট তিনটি দোকান ঘুরতে পারে। কারণ অভিযানের খবর টের পেয়ে ব্যবসায়ীরা আর মরিচ বাজারে নিয়ে আসেননি।
দেখা যায়, একই মরিচ একজন ৩০০ টাকা, অন্যজন ৩২০ টাকা এবং আরেকজন ৩৫০ টাকা দাম হাঁকছেন। কিন্তু কারও কাছেই দালিলিক কোনো প্রমাণ নেই, পুরো ব্যবসাটাই চলছে মৌখিকভাবে। পরে অভিযানের মতো আর কোনো দোকান না থাকায় ভিযান সমাপ্ত করে ভোক্তা অধিকার।
এসময় আজকের মত এমন বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে বলেও জানান জব্বার মন্ডল।
এদিকে যাত্রাবাড়ী এলাকাতেও অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাগফুরের নেতৃত্বে চলে আরেকটি অভিযান। পরিচালনাকারী দলে ছিলেন, অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ শাহ আলম ও আসিফ আল আজাদ।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh