নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যে ভালো নেই রাজধানীবাসী

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে রাজধানীর বাসিন্দাদের অনেকেই সংসারের হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক টেনেটুনে খরচ করেও মাস শেষে তাদের কোনো সঞ্চয় নেই। কেউ কেউ খরচের লাগাম টানতে কেনাকাটা ও খাওয়াদাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। তাতেও সংসারের হিসাবের খাতায় স্বস্তি ফিরছে না।

নিম্নআয়ের মানুষ যে কষ্টে আছে তা সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে তৈরি করা প্রতিবেদনে চোখ রাখলেও কিছুটা টের পাওয়া যায়। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে ২ শতাংশ এবং খোলা আটার দাম ২৪ শতাংশ বেড়েছে। পাম অয়েলের দাম ২ শতাংশ, আলু ৩৮ শতাংশ আর এ্যাংকর ডালের দাম সাড়ে ১১ শতাংশ বেড়েছে।

অবশ্য পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ বিভিন্ন মসলা, চিনি, লবণ, দুধ, ডিম, মাছ ও মাংসের দাম বেড়েছে আরও বেশি হারে। বছরের ব্যবধানে পেঁয়াজ ৪৭ শতাংশ, রসুন ২২১ শতাংশ, শুকনা মরিচ ৪৮ শতাংশ, হলুদ ৪ শতাংশ, আদা ১৮৮ শতাংশ, জিরা ১৭০ শতাংশ আর লবঙ্গের দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ।

এছাড়া বছরের ব্যবধানে রুই মাছ ৩৩ শতাংশ, গরুর মাংস ১৫ শতাংশ, ব্রয়লার মুরগি ৬ শতাংশ, কোম্পানি ভেদে গুঁড়ো দুধের দাম ৯ থেকে ১৭ শতাংশ, চিনি ৭০ শতাংশ, লবণ ১৮ শতাংশ এবং ডিমের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ। টিসিবির প্রতিবেদনেই পণ্যের দাম বাড়ার এ চিত্র উঠে এসেছে।

এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতি বাড়ার অর্থ ওই হারে খরচ বেড়ে যাওয়া। অন্যভাবে বলা যায়, এক বছরে ৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ মূল্যস্ফীতি বাড়ার মানে হলো, এক বছর আগে একজন যে সেবা বা পণ্য ১০০ টাকায় কিনতেন, এখন সেই সেবা বা পণ্যের জন্য খরচ হচ্ছে ১০৯ টাকা ১ পয়সা।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। তার আগের মে মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং মার্চে ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //