- অই; যাবি?
- হুঁ।
- ঘণ্টাপ্রতি কত?
- একশো দিলেই চলতো
- এহ একশো। পঞ্চাশে যাবি?
- আশিডা ট্যাহা দিয়েন।
রিকশায় উঠে বসতেই রিকশা চলতে শুরু করলো।
- ত্যাল মবিল মুইছা ফালা।
- কী কন?
- বাংলা বুঝোস না? নাম কী তর?
- কান্তা।
- আসল না নকল?
এই পর্যায়ে কান্তা চুপ করে থাকে। এই চুপ করে থাকাটা মূলত কোনো প্রশ্নের জন্ম দেয় না। সত্যকে মাঘের শীতের মতোই তীব্র করে তোলে। এই তীব্রতা তাহের মিয়াকেও স্পর্শ করে।
-কইছি মুখের থিকা এইসব সস্তা পাউডার আর লিপস্টিক মুইছা ফালা। এইগুলা যাইবো তো আমার প্যাডেই। তুই তো ঘণ্টাপ্রতি আশি ট্যাকা নিবি। আর শালা ডাক্তার তো পনেরো মিনিটে পাঁচ হাজার খসাইবো। তখন?
ধমক খেয়ে দ্রুত হাতে প্রলেপ মোছে সে। তবে এই ‘ঘণ্টার মাপা বাবু’র কথা বলার ধরনে ফিক করে হেসে ফেলে। ওই হাসির দিকে তাকিয়ে তাহের মিয়ার কলিজাটা ধক করে ওঠে । অবাক হয়ে ভাবে এত জোছনা এতক্ষণ কই ছিল! মনে মনে বিড়বিড় করে, ‘ধুস শালা। মাইয়া জাত আসলেই খারাপ। ঘণ্টাপ্রতি আশি ট্যাকা খরচা কইরা তারে ভাড়া নিলাম, আর সে একখান হাসি দিয়া আমার জীবনডাই কিন্যা নিল!’
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : নাহিদা আশরাফী ছোট গল্প শিল্প-সাহিত্য গল্প
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh