কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করবে

‘আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স’ তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহের শেষ নেই। প্রযুক্তি জগতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার কতটা ক্ষতিকর, কতটা উপকারী হবে, তা নিয়ে আলোচনাও দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন নেতিবাচকতার শঙ্কা থাকলেও দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের প্রযুক্তি শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর এথিকাল এআই ইন এডুকেশনের (আইইএআইইডি) প্রতিষ্ঠাতার বরাত দিয়ে ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেশিন লার্নিংয়ের অত্যন্ত উপকারি অ্যাপ্লিকেশন শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে।

শিক্ষার ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যক্তিভেদে দারুণ উপকারী হবে। বাড়বে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। বিশেষ ক্ষমতার ‘আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স’ শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ত্রুটি ধরে কোনো কিছু শেখার বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে সক্ষম হবে। এসব ক্ষেত্রে বিশেষ চাহিদার শিশুরা উপকৃত হবে। তাদের কী ধরনের সাপোর্ট দরকার হবে, সেটি প্রযুক্তি ঠিক করে দেবে!

এসব বিবেচনা করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মেশিন লার্নিং প্রযুক্তকে বলা হচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রের সম্ভাব্য বিপ্লব।

কোনো যন্ত্রকে যখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য বানানো হয়, তখন সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ মানুষের মতো কাজ পেতে যে যন্ত্র তৈরি করা হয় তাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যন্ত্র বলে। গুগল ইতিমধ্যে এর ব্যবহার শুরু করেছে। কয়েকটি গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে গাড়ি বানিয়েছে। কোনো ড্রাইভার ছাড়াই এই গাড়ি রাস্তায় চলাচল করতে পারে।

এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারই একটি প্রযুক্তি হচ্ছে মেশিন লার্নিং, যেটি আপনা-আপনি শেখার ক্ষমতা সরবরাহ করে। কোনো বিষয়ে আপনি অভিজ্ঞ না হয়েও এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। এটি মূলত কম্পিউটার প্রোগ্রামের উন্নতি বিষয়ক কাজ করে থাকে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //