অনলাইন বাণিজ্যের যাত্রা শুরুর অজানা কাহিনি

মহামারি করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) পরিস্থিতির মধ্যে অনেকে এখন অনলাইনে বাজার করার দিকে ঝুঁকছেন, বিশেষ করে যাদের কম্প্যুটার বা স্মার্টফোন ব্যবহারের সুযোগ আছে। কারণ অনলাইনে কেনাকাটায় ঘরের বাইরে বেরনোর প্রয়োজন নেই, অপরিচিত মানুষের সাথে মেলামেশা বা ছোঁয়াছুঁয়ির আশঙ্কাও এড়ানো যায়।

অনেক মানুষ অবশ্য অনলাইন বাজারে অনেকদিন থেকেই অভ্যস্ত। তাদের কাছে আমাজন, ইবে এগুলো অতি পরিচিত নাম। কিন্তু অনলাইনে কেনাকাটার শুরু কীভাবে? কীভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠল অনলাইনে সওদাপাতি?

আমাজন অনলাইনে ব্যবসা শুরু করেছে ৯০এর দশকের মাঝামাঝি, কিন্তু আমেরিকায় এমনকী ২০১০-এও খুচরা ব্যবসার মাত্র ৬% কেনাকাটা হতো অনলাইনে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর মে মাসে অনলাইনে যত মানুষ কেনাকাটা করতেন, এবছর মে মাসে তা ৩১% বেড়ে গেছে। এবার ব্রিটেনের হিসাব দেখা যাক- ২০০৬ সালে ইউকে-তে অনলাইনে বাজার করত ৩% মানুষ, ২০২০-র গোড়ায় তা দাঁড়ায় ১৯% আর করোনা মহামারির পর এবছর এপ্রিলে তা লাফিয়ে বেড়েছে ৩০ শতাংশে।

মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে শুধু উন্নত বিশ্বেই নয় - ইন্টারনেট জনপ্রিয় ও সহজলভ্য হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ফলে ইন্টারনেটে বাজারের চাহিদাও বাড়ছে দ্রুত ও ব্যাপক মাত্রায়। চীনে ইন্টারনেটে ব্যবসার পরিমাণ আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির চেয়েও বেশি। চীনে খুচরা ব্যবসার পাঁচভাগের একভাগই হয় অনলাইনে।

বিশ্লেষকরা বলছেন যেসব দেশে অনলাইনে কেনাকাটার চল বেশি, সেসব দেশে ইন্টারনেটে খুচরা ব্যবসার মোট পরিমাণ ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে যাচ্ছে বলে তাদের ধারণা। 

দুদশক আগেও অনলাইনে বাজার করা একটা নতুন চমকের ব্যাপার ছিলো। এমনকী কভিড-১৯ মানুষের মাঝে তার থাবা বসানোর আগেও মানুষ ইন্টারনেটে বাজার করত কালেভদ্রে। একটা সময় লোকে ভাবত যেসব দুর্লভ জিনিস দোকানে সহজে মেলে না, শুধু ইবে-র মত সাইটেই সেসবের সন্ধান পাওয়া যায়, সেগুলো কিনতে হলে অনলাইন বাজারের শরণাপন্ন হতে হবে।

তাহলে অনলাইন শপিং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠল কীভাবে? আর এটাই কি কোভিড পরবর্তী দুনিয়ায় আমাদের ভবিষ্যতের বাজার অভ্যাসে পরিণত হতে চলেছে? তার আগে একবার ফিরে তাকানো যাক্ এর শুরুর ইতিহাসে।

বছরটা ছিলো ১৯৮৪। ইংল্যান্ডের ছোট এক শহর গেইটসহেডে ৭২ বছর বয়সী এক নারী জেন স্নোবল তার আরামকেদারায় বসে টিভি দেখছিলেন। এর মধ্যেই তার হাতের রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহার করে তিনি অর্ডার দিলেন মাখন, কর্নফ্লেক্স আর ডিম।

মাইকেল অলড্রিচ নামে ব্রিটিশ একজন আবিষ্কারক 'ভিডিওটেক্স' নামে একটি পদ্ধতি বের করেছিলেন। ওই পদ্ধতি ব্যবহার করেই জেন টিভির মাধ্যমে খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন, বলছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ব্যবসা বিষয়ক কলেজের খুচরা বিপণন বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক জনাথান রেনল্ডস্।

জেন ভিডিওটেক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার টিভির পর্দায় একটা বাজারের ফর্দ তৈরি করেছিলেন। তার পাড়ায় খাবারের একটি সুপারমার্কেটে ফোনের মাধ্যমে খবর পাঠানো হয়েছিল জেন কী কী চাইছেন, তারপর অনেকটা ম্যাজিকের মত জিনিসগুলো পৌঁছে গিয়েছিল জেনের বাসার দরজায়।

অধ্যাপক রেনল্ডস্ব বলেন, য়স্ক এবং যাদের চলাফেরার অসুবিধা আছে তাদের সুবিধার কথা ভেবে প্রাথমিকভাবে এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন মি. অলড্রিচ। তখনও সাধারণের ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়নি। সীমিত যে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তখন ছিল তার উপর নির্ভর করেই এই প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছিল।

মাইকেল অলড্রিচের পরীক্ষায় জেন সহযোগিতা করেছিলেন। পরে জেনের টিভি সেটকে কম্পিউটার টার্মিনালে রূপান্তর করে তার মাধ্যমে মি. অলড্রিচ সুপারমার্কেটে খবর পৌঁছে দেন। মাইকেল অলড্রিচ এবং জেন স্নোবল দুজনের কেউই তখন ভাবেননি তাদের ওই ছোট্ট প্রযুক্তির পরীক্ষা ভবিষ্যতে ব্রিটেনে ১৮৬ বিলিয়ন ডলারের একটা শিল্পের কাঠামো তৈরি করবে।

জেনের সেই খাবার কেনার পরীক্ষার পর বলা হয় অনলাইনে কেনাকাটা নিয়ে পরবর্তী বড় ধরনের আবিষ্কার হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। সে বছর ড্যানিয়েল এম কোহন নামে ২১ বছরের একজন কম্পিউটার উৎসাহী তরুণ 'নেটমার্কেট' নামে একটা অনলাইন বাজার গড়ে তোলে।

সেই বাজারকে আখ্যা দেয়া হয় "সাইবার জগতে একটা শপিং মল গড়ে তোলার নতুন উদ্যোগ" হিসাবে। শুধু তাই নয়, বলা হয় অনলাইনে বা কোন ডিজিটাল মাধ্যমে সেটাই ছিল প্রথম নিরাপদ আর্থিক লেনদেন। কী বিক্রি করা হয়েছিল ওই বাজারে? স্টিং পপ গোষ্ঠীর একটি সিডি- দাম ছিল ১২.৪৮ ডলার।

এরপর ধীরে ধীরে মানুষের ঘরে গিয়ে পৌঁছল ইন্টারনেট পরিষেবা। শুরুর সেই প্রথমদিকে ইন্টারনেট সেবা বলতে ছিল ক্যাঁচকেঁচে ডায়াল করার শব্দ- সংযুক্ত হবার কঠিন চেষ্টা। প্রথমদিকে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি বড় কোম্পানি ই-বাণিজ্যের ব্যাপারে উৎসাহী এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল আর এখন বড় বড় সব করপোরেট প্রতিষ্ঠানই অনলাইনে হাজির।

গোড়ার দিকে যারা অনলাইন ব্যবসায় আগ্রহী ছিল তাদের একটি ছিল পিৎসা হাট। ১৯৯৪ সালে আমেরিকার এই পিৎসা ব্যবসার চেইন প্রতিষ্ঠান অনলাইনে পিৎসা বেচতো। তাদের সেসময়কার অনলাইন পোর্টালের নাম ছিল 'পিৎসানেট'। আদ্যিকালের ধূসর ম্যাড়মেড়ে চেহারার ওয়েবসাইটটা স্বভাবতই সেকেলে ছিলো। সেখানে লেখার জায়গা ছিলো দুটি- ক্রেতার ঠিকানা আর ফোন নম্বর।

তবে ওই ১৯৯৪ সালটাই ছিল অনলাইন শপিংয়ের জন্য যুগান্তকারী বছর। অনলাইনে কেনাকাটার জয়যাত্রা শুরু হল সেসময় থেকেই। ওই বছরই বাজারে এলো আমাজন। সেসময় আমাজন শুধু বই বিক্রি করত।

পরের বছর ১৯৯৫ সালে এলো ইবে, জাপানে এলো বৃহত্তম ই-বাণিজ্য সাইট রাকুতেন। পরের কয়েক বছর রাকুতেন পশ্চিমা বাজারও দখল করে নিয়েছিল। জাপানে ব্যবসা শুরুর দুবছর পর রাকুতেন পশ্চিমা বিশ্বে তাদের ব্যবসা প্রসারিত করে। এরপর ১৯৯৯ সালে আসে চীনের আলিবাবা।

এই কোম্পানিগুলোই অনলাইনে কেনাকাটার জগতের দরোজা খুলে দিল। তাদের হাত ধরেই এলো অনলাইনে নানাধরনের পণ্য কেনাকাটার সুযোগ, ক্রেতারা অনলাইনে পণ্য পছন্দের সুযোগ পেল, সঙ্গে এলো সৃজনশীল নানা প্রযুক্তি।

১৯৯০এর মাঝামাঝি বিশ্বায়নের ঢেউও এই অনলাইন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বড় অনুঘটক হিসাবে কাজ করেছে। ই-বাণিজ্য একটা লাভজনক এবং ব্যবসাসফল বাজার চ্যানেল-এর মডেলে পরিণত হয়েছে, বলছেন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টার্ন বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক থমাই সেরদারি। বৈশ্বিক যোগাযোগ সহজ হয়ে ওঠার কারণে এসব প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদনও বাড়াতে শুরু করল এবং বিভিন্ন দেশের বাজার উপযোগী পণ্য মূল্যের কাঠামোও তৈরি করল।

পণ্যের গুণগত মান এবং দাম নিয়ে একটা বাজার প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হলো, যেটা খদ্দেরদের কাছেও গ্রহণযোগ্য হলো। ইন্টারনেট সুবিধার দৌলতে কোন একটা পণ্য কেনার আগে সে বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া, এবং গবেষণার সুযোগও এলো ক্রেতাদের জন্য। দাম আর মানের তুল্যমূল্য হিসাব করার যে সুযোগটা খদ্দেরদের জন্য আগে ছিলো না- ইন্টারনেট মানুষের হাতে সেই নতুন অস্ত্র পৌঁছে দিলো।

প্রথমদিকের সফল দুটি অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমাজন আর ইবে আজও এই বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে আছে। সেরদারি বলছেন অনলাইনে কেনাকাটার সম্ভাবনা এই দুটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দিলেও আসলে ক্রেতাদের কারণেই অনলাইন শপিং-এর রমরমা ভবিষ্যত তৈরি হয়েছে। আসলে খদ্দেররাই এধরনের বাজারের সম্ভাবনাকে লুফে নিয়েছে। তাদের কারণেই অনলাইনে কেনাকাটা একটা সম্ভাবনাময় ব্যবসা হয়ে উঠেছে।

অনলাইনে কেনাকাটা বলতে আমরা আজকে যেটা বুঝি, সত্যিকার অর্থে তা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে ২০১৭ সাল নাগাদ।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য বলছে, ২০১৬-র শেষ দিকে দেখা গেছে আমেরিকায় প্রতি দশজনের মধ্যে আটজন কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সে বছর অনলাইনে কিছু না কিছু কিনেছে। ২০০০ সালে এটা ছিল মাত্র ২২%।

সারা পৃথিবীতে মানুষের হাতে স্মার্টফোন পৌঁছে যায় ২০১৭ সাল নাগাদ। স্মার্টফোনের ব্যবহার ওই বছর প্রায় ৮০%এ পৌঁছলে অনলাইনে কেনাকাটার হারও ব্যাপকহারে বাড়তে শুরু করে। এখন ২০১৯ সালের তথ্যে দেখা যাচ্ছে আমেরিকায় বিক্রিবাটার ১৬% হচ্ছে ই-বাণিজ্যের মাধ্যমে। ব্যয়ের হিসাবে সেটা ৬০১.৭৫ বিলিয়ন ডলার।

শপিফাই নামে ই-বাণিজ্য বিষয়ক একটি সফটওয়্যার কোম্পানি বলছে ২০১৯য়ে বিশ্বব্যাপী অনলাইন ব্যবসায় মানুষ ব্যয় করেছে ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলার। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে কীভাবে অনলাইন ব্যবসা বিস্তার লাভ করছে।

কিন্তু ২০২০তে অনলাইনে বাজার করার প্রয়োজনীয়তা এর বিস্তারে বড় ভূমিকা রেখেছে। আমেরিকায় পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিজনেস স্কুলের বিপণন বিষয়ক অধ্যাপক বারবারা কান বলছেন অনলাইন ব্যবসায় আগামী দুই থেকে তিন বছর যে প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিক নিয়মে হতো, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এক বছরেই তা হয়ে গেছে।

এবং এবছর অনলাইনের বিক্রিতে এই বিশাল প্রবৃদ্ধির পেছনে যেসব পণ্য রয়েছে সেগুলোই ছিল ১৯৮৪ সালে অনলাইনে প্রথম বিক্রি হওয়া জিনিস - যেগুলো জেন স্নোবল অর্ডার করেছিলেন - অর্থাৎ খাবারদাবার।

আমেরিকায় এবছর মার্চ আর এপ্রিলের মধ্যে অনলাইনের বিক্রি এক লাফে বেড়েছে ৪৯%। আর এর কারণ প্রতিদিনের খাবার জিনিসের বিক্রিতে ১১০% বৃদ্ধি। মিস কান বলছেন অনলাইন বিক্রির এই বিশাল প্রবৃদ্ধির মূল কারণ মানুষ ইন্টারনেটে খাদ্যপণ্য কেনা বেশি পছন্দ করছে। এটা বেশ ইন্টারেস্টিং। কারণ কভিডের আগে অনলাইন শপিং মূলত দৈনন্দিন খাবার দাবারে কেন্দ্রীভূত ছিল না।

তিনি বলছেন আগে মানুষ অনলাইনে কিনত বই, ইলেকট্রনিকের জিনিস যেমন কম্পিউটার। কিন্তু কম্পিউটার তো মানুষ রোজ কেনে না। খাবার বা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সবসময় কেনে।

অনলাইনে কেনাকাটার ধরণ গত কয়েক বছরে অনেক বদলেছে। শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় নয়, বিক্রেতারা নানা ধরনের পণ্য সম্ভার নিয়ে এসেছে অনলাইনে, যা মানুষকে আকৃষ্ট করেছে এবং ইন্টারনেটে কেনাকাটায় উদ্বুদ্ধ করেছে।

মিজ সেরদারি বলছেন, প্রায় ৩০% ব্যবসা অনলাইনে হচ্ছিলই, কিন্তু কোভিড-১৯এর পর অনলাইন ব্যবসা অনেকের জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

অনলাইনে ব্যবসা বাড়ার আর একটা কারণ মানুষ নিজের ঘরে বসে, নিজের সময়ে, নিজের পছন্দের জিনিস কিনতে পারছে। বেশিরভাগ গ্রোসারি বা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলো অনলাইনে অর্ডার নিয়ে ঘরের দরজায় বাজার পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছে।

এই সুবিধাটা অনেকেই লুফে নিয়েছেন। মানুষের এই নতুন মানসিকতা, নতুন আচরণ ই-বাণিজ্যের হাত দিনকে দিন শক্ত করছে। তবে অনলাইন শপিংয়ের এই রমরমা ট্রেন্ডের পরেও ক্রেতারা তাদের খরচের ওপর সবসময়ই নজর রেখে চলবেন এটাই স্বাভাবিক।

অনলাইনে কেনাকাটার প্রবৃদ্ধি দীর্ঘমেয়াদে একইরকম থাকবে কিনা সেটা দেখার। মানুষ যে ঘরে বসেই সবসময় বাজার করতে আগ্রহী হবে এমনটাও হলফ করে বলা যাবে না। দোকনে ঘুরে ঘুরে বাজার করাও অনেকের জন্য আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। অনেকে যা কিনছেন তা হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখতে, নেড়েচেড়ে দেখতে পছন্দ করেন। সে অভিজ্ঞতা মানুষ পুরোপুরি বিসর্জন দিতে চাইবেন এমনটাও ধরে নেয়া ঠিক হবে না।

মিস কান বলেন, আমাজনের ব্যবসায়িক মডেল হয়ত মানুষের এই মনমানসিকতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে উপযোগী হতে পারে- অর্থাৎ অনলাইন ব্যবসার পাশাপাশি আমাজনগো-র মত দোকানও চালু রাখা যেখানে গিয়ে জিনিস কেনার সুযোগও মানুষের জন্য থাকবে। অনলাইনে ব্যবসা যারা করেন, তারা ক্রেতাদের মনমানসিকতার ওপরও নজর রাখেন।

কাজেই কোভিড পরবর্তী দুনিয়ায় মানুষ কীভাবে দোকানবাজার করা পছন্দ করছেন তা খতিয়ে দেখেই তারা সম্ভবত তাদের ব্যবসাকে সময়োপযোগী করে তুলবে বলে মিস কান মনে করছেন।-বিবিসি

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //