বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে সারাদেশে এলাকাভিত্তিক দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে। ফলে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেছেন গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা নিয়ে কাজ করে যাওয়া সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এক বিবৃতিতে বলেন, জ্বালানি স্বল্পতার কারণে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সাথে অফিসের সময় কমিয়ে ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
ইন্টারনেট সেবা সরবরাহের অন্যতম কাঁচামাল বিদ্যুৎ। মোবাইল ইন্টারনেট সেবা দিতে সারাদেশে লাখের বিটিএস টাওয়ার রয়েছে, যা বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত। তাছাড়া প্রত্যেকটি অপারেটরের জোনভিত্তিক অপারেশন কেন্দ্র রয়েছে যেখানে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। এমনকি আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলির অপারেশন কেন্দ্রগুলিও বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং করার সিদ্ধান্তের সাথে আমরা এখন পর্যন্ত টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বা বিটিআরসির সাথে ইকো সিস্টেম গড়ে তোলার কার্যক্রম লক্ষ্য করিনি। সমন্বয় সাধন না থাকায় টেলিযোগ ও ইন্টারনেট সেবায় ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। বর্তমান সময়ে জীবনের অন্যতম সেবার নাম টেলিযোগ ইন্টারনেট। অফিসের সময় কমানো হলে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সময় কমিয়ে আনলে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বহুলাংশে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ইন্টারনেট টেলিযোগাযোগ
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh