‘ইভ্যালির সব দেনা এক বছরেই পরিশোধ সম্ভব’

আলোচিত ই-কর্মাস প্লাটফর্ম ইভ্যালি এক বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যবসা করতে পারলে সব দেনা পরিশোধ করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা শামীমা নাসরিন। আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ইভ্যালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা শামীমা নাসরিন বলেছেন, বাইরে থেকে পুঁজি সংগ্রহ না করে গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের টাকায় ব্যবসা শুরু করা ইভ্যালির সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।

তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল সঠিক সময়ে বিনিয়োগ না বাড়ানো এবং গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের অর্থ বকেয়া রেখে ব্যবসা গড়ে তোলা।

কিন্তু সেখানে কোনো প্রতারণা ছিল না দাবি করে  শামীমা নাসরিন বলেন, আপনারা বাড়ি নির্মাণের জন্য অগ্রিম অর্থ দেন। ডেভেলপার যদি সময়মতো বাড়ি না দেয় তাহলে এটা অন্যায়। কিন্তু এই ব্যবসাকে অন্যায্য বলা ঠিক নয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল ভবিষ্যৎ লাভ দিয়ে প্রথম দিকের দায় পরিশোধ করা। আমরা মনে করি এই পরিকল্পনায় আমাদের ভুল ছিল। এই যাত্রায় আমরা প্রথম দিন থেকেই লাভে পণ্য বিক্রি করব।

ইভ্যালির নতুন যাত্রা প্রসঙ্গে  শামীমা নাসরিন বলেন, প্রথম দিন থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইভ্যালিকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরার যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। আমরা মনে করি, আগামী এক বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যবসা করতে পারলে প্রথম বিনিয়োগ থেকেই সব দেনা পরিশোধ করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেনা পরিশোধ করতে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বিনিয়োগ। একটি যথাযথ পরিমাণে বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। মূলত আমাদের লক্ষ্য ছিল ইভ্যালিকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পর আমরা দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ নেব। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম বিদেশী বিনিয়োগ কম ভ্যালুয়েশনে না আসুক।

এর কারণ হিসেবে ইভ্যালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা বলেন, বাংলাদেশের এমন অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো সম্পূর্ণভাবে বিদেশী মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগকারী এখানে অর্থ বিনিয়োগ করলেও প্রাপ্ত মুনাফা তারা এই দেশ থেকে তাদের দেশে নিয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নিয়োগ দেওয়া ইভ্যালি পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগের দেড় মাস পর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এর আগে, গত ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে অডিট রিপোর্ট, কোম্পানির ব্যাপারে তাদের নিজস্ব প্রতিবেদন দেওয়ার পরে পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা পদত্যাগ করেন।