উইন্ডোজ কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর উপায়

পারসোনাল কম্পিউটার (পিসি) পুরোনো হলে, তার ওপর ভারী ভারী সফটওয়্যার ইন্সটল করলে বা নিয়মিত অ্যান্টিভাইরাস না দিলে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলা পিসির গতি কমে যায়। অনেক সময় নতুন পিসির গতিও কমে যেতে পারে।

পিসির গতি কমে গেলে কাজ করতে সমস্যা দেখা দেয়, এতে কাজের ফোকাস নষ্ট হয়, বিরক্তবোধের সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে কিছু উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে। এতে পিসির গতি বাড়তে পারে।

১. পিসিতে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ও অন্য যন্ত্রাংশের চালক সফটওয়্যারেরে আপডেট দেওয়া আছে কি না তা দেখতে হবে। না থাকলে আপডেট দিতে হবে। এ জন্য স্টার্ট বাটন থেকে সেটিংসে গিয়ে উইন্ডোজ আপডেট এবং চেক ফর আপডেটে ক্লিক করতে হবে। যদি ‘ইউ আর আপ টু ডেট’ লেখা থাকে, বুঝতে হবে আপডেট আছে। আর যদি ‘আপডেটস আর অ্যাভেইলেবল’ লেখা থাকে, আপডেট দিতে হবে। এতে পিসিরি গতি বাড়তে পারে।

২. একসাথে অনেক অ্যাপ, প্রোগ্রাম ও ওয়েব ব্রাউজার খোলা থাকলে কম্পিউটারের গতি কমে যায়। ব্রাউজারে একসাথে অনেক ট্যাব খোলা থাকলেও গতি কমে যেতে পারে। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ, ট্যাবগুলো বন্ধ রাখতে হবে। গতি না বাড়লে পিসি রিস্টার্ট দিতে হবে এবং কেবল প্রয়োজনীয় অ্যাপ, প্রোগ্রাম ও ব্রাউজার খুলতে হবে।

৩. গতি বাড়াতে উইন্ডোজের রেডিবুস্ট ফিচার ব্যবহার করা যায়। রেডিবুস্টের মাধ্যমে আপনি ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বা এসডি কার্ডকে একটি অতিরিক্ত র‌্যামের মতো ব্যবহার করে পিসি না খুলেই গতি বাড়ানো যায়। রেডিবুস্ট ব্যবহারের জন্য ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বা মেমরি কার্ড থাকতে হবে এবং সেটিতে অন্তত ৫০০ মেগাবাইট খালি জায়গা এবং উচ্চ ডেটা ট্রান্সফার রেট থাকবে হবে।

৪. হার্ডডিস্কের পেজিং ফাইলকে উইন্ডোজ মেমোরির মতো ব্যবহার করে। উইন্ডোজ ১১–তে একটি সেটিংস আছে, যা পেজ ফাইল আকারকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালায়। উইন্ডোজে এই সেটিংস ঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। এটি পিসির গতি বাড়ায়।


৫. পিসির ডিস্কে জায়গা কমে গেছে কি না তা দেখতে হবে। এমন হলে ডিস্ক খালি করেও পিসির গতি বাড়ানো যায়। এই ক্ষেত্রে উইন্ডোজ থেকে অপ্রয়োজনীয় বা অস্থায়ী কিছু ফাইল মুছে ফেলতে হবে।

৬. উইন্ডোজ ১১ সংস্করণে অ্যানিমেশন ও শ্যাডো ইফেক্টের মতো অনেক ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট আছে। শুনতে দারুণ মনে হলেও এতে অপারেটিং সিস্টেমের অতিরিক্ত শক্তি খরচ হয়। এর ফলে পিসির গতি কমে যায়। আর পিসির র‌্যাম যদি কম থাকে, তবে এটি আরও বেশি কার্যকর। তাই উইন্ডোজের উপকরণ ও কর্মক্ষমতার মধ্যে সামঞ্জস্য করতে হবে।

৭. অনেকেই ফাইল যেকোনো জায়গা থেকে ব্যবহারের সুবিধা নিতে অনলাইন ক্লাউড স্টোরেজ ওয়ানড্রাইভ ব্যবহার করেন। ফাইলগুলো পিসি ও ওয়ানড্রাইভের মধ্যে সিনক্রোনাইজিংয়ের মাধ্যমে রাখলে পিসির গতি কমে যায়। তাই পিসির গতি বাড়াতে সিঙ্ক করা বন্ধ রাখতে হবে।

৮. পিসি খোলার সাথে সাথে কিছু প্রোগ্রাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয় এবং ভেতরে–ভেতরে চলতে থাকে। এই প্রোগ্রামগুলো বন্ধ রাখতে হবে। এতে পিসি চালু হওয়ার পর এগুলো চলতে শুরু করবে না। এর ফলে পিসির গতি বাড়বে।

৯. ভাইরাস, ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যারের কারণে পিসির গতি কমে যেতে পারে। পিসিতে ভাইরাস বা অন্যান্য ক্ষতিকারক কোনো সফটওয়্যার আছে কি না, স্ক্যান করে সেগুলো মুছে ফেলতে হবে। এতে পিসির গতি বাড়বে।

১০. সম্প্রতি ইন্সটল করা নতুন কোনো অ্যাপ, ড্রাইভার বা আপডেটের কারণে পিসিতে হয়তো সমস্যা দেখা দিয়েছে। পিসি রিস্টার্ট দিলে পিসি পুনরায় স্বাভাবিকভাবে চলতে শুরু করবে এবং গতি বাড়বে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //