পেপারলেস অফিস বাস্তবায়ন করবে বিসিসি ও ই-স্বাক্ষর

স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক পেপারলেস অফিস বাস্তবায়নে বিসিসি ই-সাইন পরিষেবা চালু করেছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও ই-স্বাক্ষর লিমিটেডের মধ্যে ই-সাইন ব্যবহার বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ১ম স্মার্ট বাংলাদেশ দিবসে (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর সার্টিফাইং অথরিটি’র সাথে ফেয়ার প্যাটার্ন ইনকর্পোরেটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ই-স্বাক্ষর লি. এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি স্মার্ট জাতি বিনির্মাণের পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার একটি অন্যতম মাইলফলক।

বিসিসি, বাংলাদেশের লাইসেন্সপ্রাপ্ত সার্টিফিকেশন অথরিটি হিসেবে, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ডিজিটাল স্বাক্ষর সেবা প্রদান করছে। স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক পেপারলেস অফিস বাস্তবায়নে বিসিসি ই-সাইন পরিষেবা চালু করেছে। ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রযুক্তির ব্যবহার স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট অর্থনীতি প্রবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই চুক্তি অনুসারে, বিসিসি ই-স্বাক্ষর লিমিটেডকে তাদের উন্নয়নকৃত ডকুমেন্ট এবং প্রপোজাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের জন্য ই-সাইন পরিষেবা প্রদান করবে।
 
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. শামসুল আরেফিন, সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক (গ্রেড-১) রণজিৎ কুমার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এটিএম জিয়াউল ইসলাম, কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটি (সিসিএ), মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খান, ইনচার্জ (সিএ অপারেশন অ্যান্ড সিকিউরিটি), বিসিসি এবং ই-স্বাক্ষর লি. এর পরিচালক মো: বজলুল হক। বাংলাদেশে এই প্রথম ই-সাইন ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।
 
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন বলেন, এটি দেশের স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত নির্দেশ করে। তিনি বলেন, ই-স্বাক্ষর বাস্তবায়ন শুধুমাত্র সরকারি এবং বেসরকারি কার্যক্রমে দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বাড়াবে না উপরন্তু স্মার্ট অথর্নীতি বাস্তবায়নে নাগরিকদের আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

সরকারের বিভিন্ন ডিজিটাল সিস্টেমে ই-সাইন বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, ই-সাইনের ব্যবহার ডিজিটাল সিস্টেমসমূহকে সহজ ও সুসংহত করার পাশাপাশি ডিজিটাল লেনদেনে সংঘটিত প্রতারনামূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধ করার মাধ্যমে অধিকতর নিরাপদ করবে।
 
বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার বলেন, বিসিসি ২০১০ সাল থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর আলোকে ডিজিটাল স্বাক্ষর এর জন্য প্রয়োজনীয় আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও কারিগরি অবকাঠামো প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। বিসিসি ২০১৬ সাল থেকে সিসিএ কার্যালয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়ে সরকারি সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। প্রযুক্তির প্রসার ও ডিজিটাল সিস্টেমসমূহের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবস্থাকেও সহজ করা অনিবার্য। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিসিসি ২০২১ সাল থেকে ই-সাইন চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করে, যার বাস্তবায়ন এ বছর সম্পন্ন হয়। বিসিসি’র এ ই-সাইন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যেকোন ডিভাইস থেকে যেকোনো সময়ে সহজেই ডিজিটাল ডকুমেন্টে ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রয়োগ করা যাবে। আজ এই চুক্তির মাধ্যমে বেসরকারি পর্যায়ে ডিজিটাল স্বাক্ষর কার্যক্রম সম্প্রসারণের পথে ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।
 
ই-স্বাক্ষর লিমিটেডের পরিচালক মো. বজলুল হক বলেন, ই-স্বাক্ষর প্ল্যাটফর্মে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচারসহ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে প্লাটফর্মটি কাগজের ব্যবহার হ্রাস করার পাশাপাশি ডিজিটাল ডকুমেন্ট ব্যবহার পদ্ধতিতে একটি নতুন ধারা তৈরি করবে। ব্যবসায়িক কার্যক্রমে এ প্লাটফর্মটির ব্যবহার ব্যবসায়িক কার্যক্রম ডকুমেন্ট ব্যবস্থাপনাকে গতিশীল করবে। বিসিসি’র ই-সাইন সেবা সংযোজনের মাধ্যমে তাদের প্ল্যাটফর্মে ব্যবহৃত ডিজিটাল ডকুমেন্টসমূহের সত্যতা ও শুদ্ধতা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ডিজিটাল ডকুমেন্টে স্বাক্ষরকারী ব্যক্তির ডিজিটাল পরিচিতি আইনগতভাবে বৈধ ও প্রমাণযোগ্য হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //