‘ব্ল্যাকলিস্টেড’ কোম্পানি থেকে এলএনজি কিনবে সরকার

ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড থেকে ৬২৩ কোটি ৬৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬৭ টাকার ৬৭ লাখ ২০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। কালো তালিকাভুক্ত সিঙ্গাপুরের কোম্পানিটির কাছ থেকে কেন এলএনজি কেনা হবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অনলাইনে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আজ অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রীসভার কমিটিতে দুটি প্রস্তাব ও ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে পাঁচটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত অনুমোদিত পাঁচটি প্রস্তাবের অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৯১ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ৫১২ টাকা। মোট অর্থায়নের সম্পূর্ণই জিওবি থেকে যোগান দেয়া হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার মাধ্যমে ষষ্ঠ এলএনজি কার্গোর আওতায় সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লি. এর কাছে থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৩১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৩ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। একই সঙ্গে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক সপ্তম এলএনজি কার্গোর আওতায় সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লি. এর কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৩১২ কোটি ৬৫ লাখ ২৪ হাজার ২২৪ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়।

ভিটল এশিয়া বিভিন্ন দেশে ব্ল্যাকলিস্টেড, তাদের থেকে এনএলজি কেনা হচ্ছে কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশের ব্ল্যাকলিস্টেড না। বিভিন্ন দেশে তারা ব্যবসা করে। আমাদের দেশে তো তারা ব্যবসাই করেনি এখনো। আমরা প্রকিউরমেন্ট করি আমাদের স্বার্থে। তারা সেখানে ব্ল্যাকলিস্টেড হলে আমাদের তো ক্ষতি হচ্ছে না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি না পাই তাহলে তাদের যে সিকিউরিটি আছে সেটা প্রফিট হবে। সরবরাহ যখন করবে সেটার পরিপ্রেক্ষিতে তারা টাকা পাবে। ফলে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে না। আমার জানা নেই তারা ব্ল্যাকলিস্টেড। তবে ব্ল্যাকলিস্টেড হলে তাদের কাছ থেকে নেবো কেন? আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করবো, তারা দেখবেন। আগামী সভায় এ বিষয়টি অবহিত করার জন্য চেষ্টা করবো।

মুস্তফা কামাল বলেন, অনেক সময় লং টার্মে পাওয়া যায় না, সেজন্য স্পট থেকে আমরা কেনার চেষ্টা করছি। স্পট থেকে কেনা আমাদের নতুন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা চেষ্টা পারচেজ করিনি। আমাদের যেহেতু এলএনজি দরকার তাই স্পট থেকে কিনেছি। কিন্তু বিভিন্ন সোর্স থেকে আমাদের যে লং টাইম চুক্তি রয়েছে, সেগুলো অব্যাহত রেখে বাড়তি চাহিদা মেটাতে স্পট পারচেজ থেকে কেনার চেষ্টা করছি। লং টার্মে একরকম দাম এবং স্পট থেকে কিনলে আরেক রকম প্রাইস।

তিনি বলেন, এজন্য লং টার্মে যারা করে তাদের যে প্রাইস, সেটা সময় বিবেচনায় দাম নির্ধারণ করা হয়। এতে তাদের লাভও হতে পারে, আবার লোকসানও হতে পারে। স্পটে ডেইলি বেসিসে প্রাইস উঠা নামা করে। তাই আমরা ইমিডিয়েট প্রাইসে আমরা কিনছি। আমরা কেনার সময় বাজারে কেমন দাম আছে সেটা নির্ণয় করি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //