অধরায় টুরিজম স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট

পর্যটকদের সঠিক পরিসংখ্যান নির্ণয় করার লক্ষে  সরকার ২০১৮ সালে টুরিজম স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট (টিএসএ) চালুর উদ্যোগ। উদ্যোগের তিন বছর পার হলেও কাজ শেষ করতে পারেনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের তথ্য বলছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে টুরিজম স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্টের কাজ দেয়া হয়েছে। ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও করোনার কারণে এখন তা থমকে আছে। বাকি ২০ শতাংশ কাজ শেষ হলে এর সুফল পাবেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের তথ্যমতে, পর্যটকদের সঠিক পরিসংখ্যান নির্ণয়ে ২০১২ সালে একবার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংক, ইমিগ্রেশন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সহায়তা না পাওয়ায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। পরে ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণার পরও আবারও পর্যটকদের পরিসংখ্যান নির্ণয়ে টুরিজম স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট (টিএসই) চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। সে কাজ পরিসংখ্যান ব্যুরো শুরু করে ২০১৮ সালে।

পর্যটন বিশেষজ্ঞরা বলছে, টিএসএ বাস্তবায়ন করা গেলে কতজন বিদেশি পর্যটক দেশে আসেন? তারা কী পরিমাণ অর্থ খরচ করেন? কোথায় বেড়াতে যান? হোটেল, পরিবহন ও অন্যান্য খাতে কী পরিমাণ আয় হয়? তা সহজেই জানা যাবে। একই সঙ্গে জানা যাবে অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের তথ্যও।

দীর্ঘ দিন ধরেই পর্যটন সংশ্লিষ্টরা টিএসএ চালুর দাবি জানিয়ে আসছে বলে জানান বাংলাদেশ টুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিইএ) চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর।  তিনি বলেন, `আমাদের এই দাবি ১২ বছর ধরে। ছোট কাজটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে। পর্যটন নির্ভর অধিকাংশ দেশে এই স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট রয়েছে।'

বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ বলেন, ‘টুরিজম স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্টে আমরা যতগুলো তথ্য পর্যটন ভিত্তিক দেখতে পাই। তা হচ্ছে দেশি বিদেশি টুরিস্টের সংখ্যা এবং জিডিপিতে পর্যটনের অবদান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো টুরিজম স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট নিয়ে কাজ করছে। এরইমধ্যে ৮০ শতাংশ কাজ শেষও হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ কাজ শেষ হলে এর সুফল পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবাই পাবে।’

২০২০ সালে এসে করোনার কারণে কাজ থমকে গেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপপরিচালক তোফায়েল আহমদ বলেন, ২০১৮ সালে আমরা টুরিজম স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্টের কাজ শুরু করি।  সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই কাজ শেষ হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //