দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৮ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:২৩

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
ঘূর্ণিঝড়প্রবণ
এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায়
আটটি নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ অপারেশন
ইমার্জেন্সি সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার এ তথ্য
জানিয়েছেন।
নির্দেশনাগুলো
হচ্ছে-
১.
দুর্গত এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি পরবর্তী নির্দেশ
না দেয়া পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের
সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের কাজ করতে বলা হয়েছে।
২.
দুর্গত জেলা সমূহে ১৫৭৭টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
৩.
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৪৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে মেডিক্যাল টিম স্বাস্থ্যসেবা
দেবে।
৪.
দুর্গত জেলাগুলোতে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি মজুত নিশ্চিত করা হয়েছে।
৫.
কেন্দ্রীয় ওষুধাগার (সিএমএসডি) এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওষুধ মজুত পর্যালোচনা করে
দেখা গেছে, পর্যাপ্ত ওষুধ ও চিকিৎসা
সরঞ্জামাদি
মজুত রয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় সব কিছু দুর্গত এলাকায় পৌঁছানোর
ব্যবস্থা করা হবে।
৬.
দুর্গত এলাকায় গর্ভকালীন ও জরুরি প্রসূতি সেবার প্রতি বিশেষ নজর রাখা হয়েছে।
৭.
স্বাস্থ্য অধিদফতরে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, অপারেশন প্ল্যানের জরুরি প্রস্তুতি কর্মসূচি সার্বিক বিষয়ে সমন্বয় করছে।
৮. হেলথ
ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ের
প্রস্তুতি ও কার্যক্রম তদরকি করা হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
এবং উপদ্রুত জেলাগুলোর কন্ট্রোল রুমগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এর আগে
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ঘূর্ণিঝড়প্রবণ ১৩ জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শনিবার
(৯ নভেম্বর) ও রবিবারের (১০ নভেম্বর) ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে কর্মস্থল
ত্যাগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট জেলাগুলো হলো— সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজুপর, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, খুলনা, চাঁদপুর, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত
আদেশ জারি করে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলেছে।