-5dad56883403d.jpg)
পাহাড়ঘেরা রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে ১৮ অক্টোবর নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নৌকা বাইচে চারটি গ্রুপে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা বাইচে অন্যতম আকর্ষণ ছিল নারীদের নৌকা বাইচ। ছবি: মঈন উদ্দিন বাপ্পী
-5dad56883fb3e.jpg)
পাহাড়ঘেরা রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে ১৮ অক্টোবর নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নৌকা বাইচে চারটি গ্রুপে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা বাইচে অন্যতম আকর্ষণ ছিল নারীদের নৌকা বাইচ। ছবি: মঈন উদ্দিন বাপ্পী

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ১৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিনদিনব্যাপী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। এটি ঐতিহ্যবাহী বিল বাঘিয়ার বাইচ হিসেবে পরিচিত। ছবি: দুলাল বিশ্বাস

লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে বরিশালের উজিরপুরের কচা নদীতে ১৩ অক্টোবর দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: খান রুবেল

রাজবাড়ী রেলস্টেশন সংলগ্ন ফুলতলা লেক সংস্কার ও সৌন্দর্য বর্ধনের দাবিতে ১১ অক্টোরব কলাগাছের তৈরি ঐতিহ্যবাহী ভেলা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১৫টি পুরুষ দল ও তিনটি নারী দল অংশ নেয়। ছবি: চঞ্চল সরদার
নদীমাতৃক বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আনন্দ আয়োজন, উৎসব ও খেলাধুলা সবকিছুতেই নদী ও নৌকার সরব আনাগোনা। হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সংস্করণ বাংলাদেশের নৌকা বাইচ।
এক সময় এ দেশে যোগাযোগ ছিল নদী কেন্দ্রিক আর বাহন ছিল নৌকা। এখানে নৌ শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে বিভিন্ন শিল্পকেন্দ্র। এসব শিল্পে যুগ যুগ ধরে তৈরি হয় দক্ষ ও অভিজ্ঞ কারিগর। এভাবে এক সময় বিভিন্ন নৌযানের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
বাইচের নৌকার গঠন কিছুটা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এই নৌকা হয় সরু ও লম্বাটে। লম্বায় যেমন অনেক দীর্ঘ হয় ঠিক তেমনই চওড়ায় খুবই সরু। কারণ সরু ও লম্বাটে হওয়ার দরুণ নদীর পানি কেটে দ্রুত চলতে সক্ষম ও প্রতিযোগিতার উপযোগী।
কারুকার্য ও গঠনের দিকে তাকালে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাইচের নৌকাগুলোর মধ্যে বৈচিত্র্যতা দেখা যায়। একেক অঞ্চলের নৌকা বাইচের জন্য একেক রকমের নৌকার প্রচলন রয়েছে।
- ঢাকা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ এ অঞ্চলগুলোতে বাইচের জন্য সাধারণত কোশা নৌকা ব্যবহৃত হয়। এর গঠন সরু এবং লম্বায় প্রায় ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট পর্যন্ত হয়।
- টাঙ্গাইল ও পাবনায় নৌকা বাইচে সরু ও লম্বা ধরনের ছিপ জাতীয় দ্রুতগতি সম্পন্ন নৌকা ব্যবহৃত হয়। এর গঠনও সাধারণত সরু ও লম্বায় প্রায় ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট পর্যন্ত হয়।
- কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আজমিরিগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলে বাইচের জন্য সারেঙ্গী নৌকা ব্যবহৃত হয়। এর আকারও কোশা ও ছিপ জাতীয় বাইচ নৌকার মতোই সরু লম্বায় প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ ফুট। তবে এর প্রস্থ একটু বেশি ৫ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত হয়।
- চট্টগ্রাম, নোয়াখালী জেলার নিম্নাঞ্চল ও সন্দ্বীপে বাইচের জন্য সাম্পান ব্যবহৃত হয়।
- ফরিদপুরে ব্যবহৃত হয় গয়না নৌকা। গয়না দৈর্ঘ্যে প্রায় ১০০ ফুট থেকে ১২৫ ফুট মাঝখানে ৮ থেকে ৯ ফুট প্রশস্ত। -উইকিপিডিয়া