
পাকিস্তানের করাচিতে যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে। দুইজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বিমানটিতে মোট ৯৯ আরোহী ছিলো। হতাহতের মধ্যে ১৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার (২২ মে) বিকেলে ৯১ জন যাত্রী ও আটজন ক্রু নিয়ে দেশটির আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ-৩২০ এয়ারবাস মডেলের বিমানটি লাহোর থেকে করাচি যাচ্ছিল।
পাকিস্তানে বিমান চলাচল কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) জেট বিমান এ-৩২০ এ, ৯১ জন যাত্রী এবং ৮ জন বিমান কর্মী ছিলেন। লাহোর থেকে বিমানটি যাত্রা শুরু করে পাকিস্তানের অন্যতম ব্যস্ত একটি বিমানবন্দর করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিমানটি বিধ্বস্তের আগে দুই থেকে তিন বার অবতরণের চেষ্টা করে। কিন্তু শেষমেশ করাচির একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়ে যায় বিমানটি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিন্নাহ বিমানবন্দর থেকে বিমানটি মাত্র প্রায় এক মিনিটের দূরত্বে ছিলো।
শাকিল আহমেদ নামে স্থানীয় একজন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বিমানটি প্রথমে একটি মোবাইল টাওয়ারে আঘাত করে। এরপর বাড়ির উপরে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।
পাকিস্তানের টিভি ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, ওই এলাকার বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ উজায়ের বিবিসি উর্দু বিভাগকে জানিয়েছেন, বিকট আওয়াজ শুনে তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, প্রায় চারটি বাড়ি পুরো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। প্রচুর ধোঁয়া আর আগুন জ্বলছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক টুইট বার্তায় জানান, দুর্ঘটনার খবরে তিনি মর্মাহত এবং দু:খিত। সেইসঙ্গে অবিলম্বে ঘটনার তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সে’র মুখপাত্র আবদুল সাত্তার পিকে-৮৩০৩ নম্বর ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তবে কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটলো তা তৎক্ষণাৎ জানা যায়নি।-বিবিসি, ডন।