
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজিয়া হাসান অদিতির বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে। রবিবার এ খবর প্রকাশ্যে আনেন অদিতি। এরপর থেকে গুজব ওঠেছে অপূর্ব-অদিতির সংসার ভাঙার পেছনে তানজিন তিশা জড়িত। বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
গুজব ছড়িয়েছে, নিয়মিত জুঁটি বেঁধে অভিনয় করতে গিয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান অপূর্ব-তিশা।
এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে বিব্রত হন তিশা। গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এমনকি গুজব যারা ছড়াবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৮ মে) ভোরে নিজের ফেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তানজিন তিশা লিখেছেন, ‘আমি সাধারণত গুজবে সাড়া দিই না। তবে আজ আমি অনুভব করছি যে, কয়েকটি অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত চলমান গসিপ বন্ধ করা উচিত। দয়া করে আমার নামটি ব্যাবহার করবেন না। এতে আমারসহ শিল্পী এবং তার পরিবারের চলমান পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আমি সত্যিকার অর্থে বিশ্বাস করি যে, কেউ আমার খ্যাতি কুখ্যাতে ইচ্ছাকৃতভাবে এটি তৈরি করছে।’
সবার কাছে অনুরোধ করে তিশা বলেন, ‘দয়া করে এমন খবরে বিশ্বাস করবেন না, যার কোনও সত্যতা নেই। আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি যেন এই গুজবে আর ভাগ না বসিয়ে এবং ছড়িয়ে না দেন। কারণ, ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেয়াও একটি সাইবার অপরাধ।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিশা বলেন, ‘অনুরোধ করছি আপনাকে এই ধরনের ভিত্তিহীন গল্পে আমার নাম উল্লেখ না করার। যারা এই কাজটি চালিয়ে যাবেন তাদের আমার শেষ থেকেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
এর আগে ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন অপূর্ব। এই সম্পর্ক ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতেই ভেঙে যায়। তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। ওই বছরের ১৪ জুলাই অপূর্ব পারিবারিকভাবে নাজিয়া হাসান অদিতিকে বিয়ে করেন। অপূর্ব-অদিতির দাম্পত্য জীবনে আয়াশ নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে।