Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

১৬ বছর আগে একইভাবে প্রাণ হারান পাইলট আঞ্জুর স্বামী

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৩৫

১৬ বছর আগে একইভাবে প্রাণ হারান পাইলট আঞ্জুর স্বামী

আঞ্জু খাতিওয়াদা/টুইটার

২০১০ সালে আঞ্জু খাতিওয়াড়া যোগ দেন জাপানের ইয়েতি এয়ারলাইন্সে। আঞ্জুর স্বামী দীপক পোখারেলও পাইলট ছিলেন। ২০০৬ সালে ১২ জুন ইয়েতি এয়ারলাইন্সেরই একটি বিমান দুর্ঘটনায় দীপকের মৃত্যু হয়। মৃত স্বামীর স্বপ্নপূরণের জন্যই তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেন আঞ্জু।

তবে কো-পাইলট আঞ্জু খাতিওয়াড়াও স্বামীর মতো প্রাণ হারালেন বিমান দুর্ঘটনায়।

রবিবার (১৫ জানুয়ারি) নেপালের পোখরায় ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান কো-পাইলট আঞ্জু। রবিবার স্থানীয় সময় সকালে উড়োজাহাজটি পোখারা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় সেতি নদীর তীরে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় আরোহী ৭২ জনের সবাই প্রাণ হারান।

ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা বলেন, আঞ্জুর স্বামী দীপক পোখরেল ২০০৬ সালে জুমলায় ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি টুইন অটার বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর বীমা থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে আঞ্জু পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নেন।

আঞ্জু খাতিওয়াড়াকে ব্যক্তিগতভাবে চেনা ইয়েতি এয়ারলাইন্সের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, এয়ারলাইনের নিয়ম অনুযায়ী রবিবার একজন প্রশিক্ষক পাইলটের সঙ্গে তিনি (আঞ্জু) বিমানটি উড়িয়েছিলেন। তিনি যেকোনো সময়ে যেকোনো দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত ছিলেন এবং এর আগেও পোখরাগামী ফ্লাইটে ছিলেন।

তবে আঞ্জু খাতিওয়াদার পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

খাতিওয়াড়া যে এটিআর-৭২ বিমানের কো-পাইলট ছিলেন সেটি বিধ্বস্ত হয়ে পোখারা বিমানবন্দরের পাশে একটি খাতে পড়ে। এর আগে বিমানটিতে আগুন ধরে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার একটি ভিডিওতেও এই বর্ণনার সত্যতা মিলেছে।

পরিষ্কার আকাশেও বিমানটি কী কারণে বিধ্বস্ত হলো তা জানা যাবে ককপিট এবং ডেটা রেকর্ডার থেকে। সোমবার এই দুটি রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫